বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে ধর্ষণ গণধর্ষণের ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে তাতেই এক দিকে তো মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নির্বাক চলচ্চিত্রের ভূমিকা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। মহিলারা কবে সুবিচার পাবে? এই দাবিতে রাজধানীতে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ মিছিল দেখিয়েছেন মহিলারা। এ নিয়ে প্রশাসনকে দুষলেন আদতে কিন্তু যত দোষ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর, সম্প্রতি জওহরলাল নেহেরুকে কটাক্ষ করে এমনটাই বললেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী।
ও শুধুমাত্র ধর্ষণ গণধর্ষণ নয় দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকে শুরু করে সীমান্তে উত্তেজনা সমস্ত ক্ষেত্রে কিন্তু প্রথম প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করে থাকেন এর বাহিনীর নেতা নেত্রীরা। তবে এ বার ধর্ষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী জওহরলাল নেহরুকে সব থেকে বড় ধর্ষক বলে কটাক্ষ করলেন।
হায়দরাবাদ অর্ণবের মতো ঘটনার সমালোচনা করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ভারতকে গোটা বিশ্বের মধ্যে ধর্ষণের রাজধানী বলে দাবি করেছিলেন আর তা ই রাহুল গাঁধীর কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী বলেন, আমাদের দেশ শ্রীরাম এবং কৃষ্ণের দেশ। রাহুল গাঁধী কী বলবেন! সব থেকে বড় ধর্ষক তো ছিলেন নেহেরু।
উনি শ্রীরাম এবং কৃষ্ণ ঐতিহ্য নষ্ট করে দিয়েছেন। আসলে ওনার গণধর্ষণ কাণ্ডের পিছনে জড়িত রয়েছেন এক বিজেপি বিধায়ক আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশবাসীই। আর তাই তো যদি সেরা নাকি ভারতের মা বোনেদের নিরাপত্তা নেই এমনটাই প্রশ্ন তুলছেন আর তাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত কটাক্ষ করে ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
আর এ সবের পিছনেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী সন্ত্রাসবাদ নকশালবাদ দুর্নীতি এবং ধর্ষণকে নেহরুর দেওয়া উপহার বলে কটাক্ষ করেন। যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগেও একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে নেহেরুকে দোষারোপ করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। তবে শুধুমাত্র জওহরলাল নেহেরুকে নয়
উত্তরপ্রদেশের মিরাট থেকে এনকাউন্টার প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকাকেই সমালোচনা করা মানেকা গান্ধীকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না সাধ্বী প্রাচী। রবিবার তিনি বলেন, উনি কেবল পশুদের ভালোবাসেন। এই জন্যই পশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।