এক সময় বাংলা ভারতবর্ষের আর্থিক ও সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন বাংলা খণ্ড খণ্ড হয়ে পড়েছে এবং বেশিরভাগ বাংলার ইসলামিকরণ হয়ে গেছে। বাংলা ভাগ হয়ে বর্তমানে ইসলামিক বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর প্রচেষ্টার দরুন যে পশ্চিমবঙ্গ নামক বাংলা ভারতে রয়েছে তাও এখন ইসলামিক আগ্রাসনের মুখে। তবে এখনও ইসলামিক বাংলাদেশ থেকেও এমন এমন কিছু খবর ছড়িয়ে পড়ে যার উপর বাংলাদেশের জনগণ দারুণভাবে গর্ব করে। আসলে বাংলাদেশে এখন দাঁড়ির গেরুয়াকরণ শুরু হয়েছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আসলে বাংলাদেশে একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। তা হলো দাঁড়ির কালো বা সাদা রং পরিবর্তন করে সেটাকে গেরুয়া করে নেওয়া। প্রথমত জানিয়ে দি, গেরুয়া রং হিন্দুত্বের প্রতীক। কিন্তু এটা মোটেও হিন্দুত্বের জন্য করা হচ্ছে না। বরং হ্যান্ডসাম ও সুন্দর দেখাতে বাংলাদেশে দাঁড়ির গেরুকরন শুরু হয়েছে। এমনকি ৬০-৬৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি বৃদ্ধরাও এই ফ্যাশন ট্রেন্ডিং এ মেতে উঠেছেন। শুধু এই নয়, বাংলাদেশি ধর্মগুরুরা পর্যন্ত ট্রেন্ডিং থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারেননি।
ফ্যাশন জার্নালিস্ট দিদারুল দীপুর বলেছেন এখন সবাই নিজেকে সুন্দর দেখতে চাই। তাই সবাই এই ট্রেন্ডের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। অনেকের ধারণা ইসলামের প্রবর্তক হজরত মহম্মদও তার চুল, দাঁড়ি রং করাতেন। সেই হিসেবে এখানে ধর্মের কোনো নিষেধাজ্ঞা পড়ে না। অনেকে মনে করেন মেহন্দি লাগালে চুল আর দাড়ি মজবুত হয় আর খরচও কম তাই এটার প্রয়োজন রয়েছে। মাত্র ১৫ টাকা খরচ করলেই দাঁড়ি গেরুয়া করে নেওয়া সম্ভব। ঢাকার এক সেলুনকর্মী বলেন, আগে দাঁড়ি চুল রং করার ট্রেন্ড এতটা ছিল না। কিন্তু এখন প্রায় প্রত্যেকদিন কেও না কেও এসে দাঁড়ি চুল রং করিয়ে যায়।