বাবা ইলেকট্রিশিয়ান, মা হোটেলের রুটি তৈরি করেন, দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়ে নজির গড়লেন ছেলে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গভীর অধ্যাবসায় আর চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করা কোনো অসম্ভব কাজ নয়। তাই তো হাজার চেষ্টা থাকলে হাজার প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেও সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো যায়। যেমন উদাহরণ আমরা এর আগে বহুবার পেয়েছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করলে যে মর্যাদা পেতেই হবে এমনটা একেবারেই নিশ্চিত। তাই নিতান্ত দারিদ্রতার সত্ত্বেও কোনও রকম প্রতিকূলতার বাধাবেরিয়ে গিয়ে আজ দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হলেন এক যুবক।

ঘনিষ্ঠতম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট পুলিশ হয়ে আর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি রাজস্থানের জামনগরে একটি থানার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। জানা গিয়েছে তাঁর মা একটি হোটেলে সামান্য রুটি তৈরির কাজ করেন এবং বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ান,অত্যন্ত কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়েছেন সাফিন হাসান।IMG 20180323 081328 e1525763887490

গুজরাতের পালান পুরো রেখেই আইপিএস অফিসার খুব ছোটবেলায় দেখেছিলেন এক জেলাশাসক কার গ্রামে এসে কিছু সমস্যার সমাধান করেছিলেন আর তারপর ওই জেলাশাসক সকলের খুব সম্মান এবং শ্রদ্ধা পেয়েছিলেন আর তার পর থেকে ওই জেলাশাসকের মতো হয়ে ওঠার উত্সাহ মনের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন সাফিন হাসান।

সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করবেন এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক পাশ করার পর ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অদম্য জেদ আর অধ্যাবসায় তাঁকে এতটাই সাফল্য এনে দিয়েছে যে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় 570 নাম উঠেছে তাঁর এবং দেশের সর্ব কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হিসেবে 22 বছর বয়সে নিযুক্ত হতে চলেছেন তিনি।

তবে সাফিনের এই সাফল্যের পিছনেই তাঁর বাবা প্রতিবেশীর কথা জানিয়েছেন যাঁরা তাঁদের সব সময় পাশে ছিলেন এবং তাদেরকে যশোদা মা আর নন্দ বাবা বলেছেন সাফিন। সর্বদা আর্থিক অনটনের সময় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট করেছিল সাফিন কে।

সম্পর্কিত খবর