বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদী দমন আইন মামলায় ২৭ বছরের সফুরাকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (NRC) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ঘটনার প্রায় চার মাস পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। দিল্লির (Delhi) দাঙ্গাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সফুরা এখন দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়ে হওয়া প্রতিবাদে সামিল ছিলেন জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি’রও সদস্যা সফুরা। প্রতিবাদি দাঙ্গায় মদত দেওয়া অভিযোগে সফুরাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানান, ‘আমার বিশ্বাস সফুরার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে দেশের বিচারব্যবস্থা। আমার ছাত্রী নির্দোষ এবং আইনি পথে ও মুক্তিও পেয়ে যাবে’।
দাঙ্গা, অস্ত্র দখল, হত্যার চেষ্টা, হিংসা ছড়ানো, রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিয়ে প্রায় ১৮টি অপরাধের অভিযোগ আছে সফুররা বিরুদ্ধে। তিহাড় জেলে অসংখ্য বন্দিদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাত থাকা নিরাপদ নয়। এই এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত সফুরার আইনজীবী জানিয়েছেন, একাধিক অস্পষ্ট অভিযোগের উপর নির্ভর করে কোন গর্ভবতী মহিলাকে আটকে রাখা অন্যায়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা প্রতিবাদকারী মানুষদের শাস্তি দিতে লকডাউনকে হাতিয়ার করেছে পুলিশ। তবে গর্ভবতী সফুরার, এই জেল হেফাজতে যাতে কোন সমস্যা না হয়, তাঁর দায়িত্ব বিচার ব্যবস্থার উপরই থাকবে।
প্রসংত বলা যায়, করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে জারী হওয়া লকডাউনের জেরে বিচার কার্য আপাতত স্থগিত হয়ে পড়েছে। এই সময় বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এই সংকটের মধ্যে সফুরার আইনজীবী সংবাদ পেয়েছেন কোয়ারেন্টিনের কারণে সফুরাকে নির্জনে একটি সেলে রাখা হয়েছে। তাঁকে ঠিকমত চিকিৎসাও করা হচ্ছে না এবং স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে এই সময়ে তাঁর উপর মানসিক চাপ পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে সফুরার আইনজীবী।