বাংলাহান্ট ডেস্ক : তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ব্যবসা করার প্রবণতা। দিল্লির বাসিন্দা সাহানা চ্যাটার্জি কাজ করতেন দেশের একটি নামজাদা ব্যাঙ্কিং সংস্থায়। তবে ২০২২ সালে ব্যাঙ্কের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে সাহানা শুরু করেন তার নিজস্ব পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবসা। শুরুটা খুব একটা সহজ না হলেও, সাহানার সাফল্য (Success Story) অবাক করে দিতে পারে অনেককেই।
ব্যবসা করেই সাফল্য (Success Story) পেলেন সাহানা
২০২২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই বাঙালি কন্যা শুরু করেন সাজাওয়া নামক পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরির সংস্থা। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সাহানার সংস্থার অ্যানুয়াল টার্নওভার পেরিয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। এককথায় বলা যায় সফলতার (Success Story) সঙ্গে সঙ্গে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতাও।
আরোও পড়ুন : কলকাতার এই এলাকা থেকেই “ফান্ডিং” পাচ্ছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল STF
সাহানা বলেন, মহিলারা যে শাড়ি বা পোশাক পরেন তাতে সাধারণত পকেট থাকে না। তাই অধিকাংশ মহিলার হাতেই থাকে কোনো না কোনো ব্যাগ। সাহানার কথায়, আমাদের দেশের মহিলারা যে ব্যাগ ব্যবহার করেন সেগুলোর অধিকাংশই চামড়ার। মন্দির বা অন্যান্য অনেকস্থানে এই ধরনের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকে নিষেধাজ্ঞা।
আরোও পড়ুন : ‘খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি…’ আরও এক দুর্নীতির ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু! তোলপাড় বাংলা
এমনকি এই ধরনের চামড়ার ব্যাগ ক্ষতি করে পরিবেশেরও। সেই ভাবনা থেকেই পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরির আইডিয়া আসে সাহানার মাথায়। সাহানা জানান, পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগগুলি তৈরি হয়ে থাকে ঘাস দিয়ে। কিছু কিছু ব্যাগে ব্যবহার করা হয় কাপড়ের অবশিষ্ট অংশ। এই ধরনের ব্যাগ একদিকে যেমন স্টাইলিশ, অন্যদিকে পরিবেশবান্ধবও বটে।
সাহানার কথায়, জয়পুর, রাজস্থান, বাংলা এমনকি গুজরাটেও বেশ চাহিদা (Demand) রয়েছে এই ধরনের ব্যাগের (Bag)। মাত্র ১৫০ টাকা থেকে শুরু এই ব্যাগগুলি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মহিলাদের মধ্যে। দিল্লি এনসিআর-এ অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতেও সাহানা পৌঁছে গিয়েছিলেন তার ব্যাগের সম্ভার নিয়ে।