বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের বাদশা যেমন শাহরুখ খান, তেমনি নবাব হলেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। হরিয়ানার গুরুগ্রামে পতৌদিদের বিরাট মালিকানার একচ্ছত্র অধিপতি হলেন বলিউড অভিনেতা। বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পর নবাব হিসেবে অভিষেক হয় সইফের। তবে পতৌদিদের বিপুল সম্পত্তি অত সহজে হাতে আসেনি অভিনেতার।
পতৌদির প্যালেসের অপর নাম ছিল ইব্রাহিম কোঠি। ভোপালের বেগমের সঙ্গে বিয়ের পর নবাব ইফতিকার আলি খান পতৌদি এই মহল তৈরি করেন। তিনি ছিলেন সম্পর্কে সইফের ঠাকুরদা। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১১ সালে মনসুর আলি খান পতৌদির সময়ে নির্মানা হোটেলকে ভাড়া দেওয়া ছিল প্যালেসটি।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘মানুষের সব বিষয়ে একটা নির্দিষ্ট ধারনা থাকে। আমার বাবার মৃত্যুর সময় পতৌদি প্রাসাদ নীমরানা হোটেল চেনের কাছে লিজ দেওয়া ছিল। অমন নাথ ও ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং সেই হোটেল চালাতেন। ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর আমার কাছে জানতে চাওয়া হয় পতৌদি প্রাসাদ আমি ফেরত চাই কি না? পরিবর্তে আমার কাছে একটা বড়সড় অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়। সেটা আমাকে দিতে হয়।’
জানা যায়, অমন নাথ ও ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং হোটেল ব্যবসার জন্য মনসুর আলি খানের থেকে পতৌদি প্রাসাদ লিজে নিয়েছিলেন। তাঁরা যৌথভাবে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হোটেল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন এই প্রাসাদকে। তারপর সেটি সইফের জিম্মায় আসে।
১০ একর জমি নিয়ে তৈরি পতৌদি প্যালেসের আনুমানিক মূল্য ৮০০ কোটি টাকা। বিরাট এই মহলে রয়েছে ১৫০ টি ঘরঘর। এর মধ্যে সাতটি বেডরুম, সাতটি ড্রেসিং রুম, সাতটি বিলিয়ার্ড রুম রয়েছে বলে জানা যায়। বহু বলিউড এবং হলিউড ছবির শুটিং হয়েছে এই পতৌদি প্যালেসে। এখন মাঝেমধ্যেই পরিবারকে নিয়ে এখানে ছুটি কাটাতে আসেন সইফ।