বাংলাহান্ট ডেস্ক: চকোলেট বয়স হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। হ্যান্ডসাম মুখশ্রীর ছেলেটা আজ চার সন্তানের বাবা। পতৌদির নবাব বলিউডে ভালোই প্রতিপত্তি করেছেন। সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা যতটা না হয় তার থেকে বেশি ট্রোল হয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। নিন্দার ঠেলায় নাকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসেননি তিনি।
বাবা খ্যাতনামা ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি, মা প্রখ্যাত নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। দুদিকেই কেরিয়ার বানানোর সুযোগ ছিল বড় ছেলে সইফের। কিন্তু তিনি বেছে নেন অভিনয়। সুপুরুষ চেহারার সইফ কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রোম্যান্টিক ছবিতে অভিনয় করে। তাঁর অভিনয়ের প্রকৃত কদর হতে শুরু করে ‘ওমকারা’ ছবির পর থেকে।
ওই ছবিতে সইফের অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের। তারপর থেকে হাম তুম, দিল চাহতা হ্যায়, সেক্রেড গেমস, তানাজিতে নিজের অভিনয় প্রতিভা দেখিয়েছেন তিনি। অনেকেই বলেন, মায়ের গুণ পেয়েছেন সইফ। শর্মিলা ঠাকুরের হাত ধরেই পতৌদি পরিবারে অভিনয় ঢুকে পড়ে। মেয়ে সোহা আলি খান অভিনয়ে আসলেও কয়েক বছর পরেই বিদায় নেন।
তবে মনসুর আলি খান পতৌদির আগে থেকেই ক্রিকেটটা কিন্তু অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত ছিল নবাব পরিবারে। মনসুরের বাবা অর্থাৎ সইফের ঠাকুরদা ইফতিখার আলি খান পতৌদিও ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। বাপ ঠাকুরদার পেশা ছেড়ে মায়ের পথ ধরলেন কেন সইফ? ছোটে নবাবের অভিনেতা হওয়া নিয়ে প্রথমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু ক্রিকেটের দিকে কখনো যাননি কেন সইফ? পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। অভিনেতা বলেছিলেন, “কারণ আমার মনে হয়েছিল যে আমি আব্বার মতো খেলতে পারব না। যখন আমি ৬ বছরের ছিলাম তখনি এটা বুঝে গিয়েছিলাম আমি।”
সইফকে এও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কি মনে করেন শর্মিলা ঠাকুরের মতো ভাল অভিনেতা হতে পারবেন? উত্তরে সইফ বলেছিলেন, তিনি মায়ের মতো ভাল অভিনেতা হতে চাইবেন। কারণ তিনি অভিনয়টা পারেন। তবে মা শর্মিলা ঠাকুর অত্যন্ত সফল ছিলেন। কতটা সফল না হতে পারলেও অভিনয় তিনি করতে পারেন।
এরপরেই সইফ মজা করে বলেছিলেন, “গোটা দেশে মাত্র ১১ জন খেলতে পারেন। কিন্তু আমি খেলতে পারলে সত্যিই খুব ভাল হত। আমি মনের দিক থেকে খুব রোম্যান্টিক। আমি তো সচিন তেন্ডুলকরের থেকেও বড় স্টার হতাম। তৃতীয় প্রজন্ম ভাবুন, ঠাকুরদা ক্যাপ্টেন, বাবা ক্যাপ্টেন, ছেলেও ক্যাপ্টেন!” তিনি হাসতে হাসতে এও বলেছিলেন, ক্রিকেটে তিনি এতটাই খারাপ যে ক্রিকেট নিয়ে কোনো ছবি হলে তাতে অভিনয়ই করতে পারবেন না।