৫০০০ কোটি টাকার পতৌদি প‍্যালেস! তাও চার সন্তানকে দেওয়ার জন‍্য কানাকড়িও নেই নবাব সইফের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের খানদের মধ্যে সইফ আলি খান (saif ali khan) অন্যতম। অভিনেতা ছাড়াও তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে, তা হল তিনি পতৌদি নবাব পরিবারের সন্তান। তাঁর শরীরে বইছে নবাবি খানদানের রক্ত। কিন্তু নবাব পরিবারের সন্তান হলেও সবকিছু জন্মসূত্রে পাননি তিনি। এমনকি ঐতিহ্যের পতৌদি প্রাসাদটিও জন্মসূত্রে পাননি তিনি। বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচা করে তাঁকে এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে হয়েছে।

হরিয়ানাতে পতৌদি প‍্যালেস এবং ভোপালে আরো কিছু সম্পত্তি মিলিয়ে সইফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০০ কোটি টাকারও বেশি! কিন্তু এত টাকার মালিক হয়েও নিজের চার ছেলে মেয়েকে এক কানাকড়িও দিতে পারবেন না অভিনেতা। উত্তরাধিকার সূত্রে যদি পতৌদি প‍্যালেস চার সন্তানের মধ‍্যে কেউ পেতে চায় তাহলে তাঁকে আইনি পথে যেতে হবে।


আসলে পতৌদি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত সম্পত্তি ভারত সরকারের বিতর্কিত শত্রু বিরোধ আইনের আওতায় পড়ে। এই আইনের আওতায় যেসব সম্পত্তি রয়েছে তার উত্তরাধিকারী হিসাবে কেউ নিজেকে দাবি করতে পারেন না। আর যদি কেউ দাবি করেও তাহলেও সোজা পথে সম্পত্তির অধিকার তিনি পাবেন না। প্রথমে তাকে যেতে হবে হাইকোর্ট। সেখানে না হলে সুপ্রিম কোর্ট। আয যদি সেখানেও না হয় তাহলে সোজা রাষ্ট্রপতির দরবারে।

যেটা জানা যাচ্ছে, এই পতৌদি পরিবারের সম্পত্তি আসলে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে থাকা নবাব হামিদুল্লাহ খানের। তিনি হলেন সইফের ঠাকুরদার বাবা। কিন্তু নবাব নিজের সম্পত্তির কোনো উইল করে যাননি। যার জেরে পরবর্তীকালে শরিকদের মধ‍্যে কিছু ঝামেলা বিবাদ হয়। শোনা যায়, পাকিস্তানে বসবাসকারী সইফের এক ঠাকুমার সঙ্গে এই পরিবারের কিছু মনোমালিন‍্য রয়েছে।


অপর একটি সূত্রের কথা মানলে, নবাব হামিদুল্লাহ তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির মালিকানা বড় মেয়ে আবিদার নামে করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবিদা বিয়ে করে পাক মুলুকে চলে গেলে সম্পত্তির অধিকার পান মেজ মেয়ে সাজিদা। সাজিদা বিয়ে করেন ইফতিখার আলি খাঁকে। তাঁদের তিন ছেলে মেয়ে, মনসুর আলি খান, সালেহা সুলতান ও সাবেহা সুলতান। সম্পত্তির উত্তরাধিকারি হয়েছিলেন মনসুর যিনি কিনা সইফের বাবা।


সেই সূত্রে সইফ পতৌদির সম্পত্তির অধিকারী হলেও ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার হামিদুল্লাহের মেজ মেয়ে সাজিদা নয়, পাকিস্তানে চলে যাওয়া বড় মেয়ে আবিদাকেই সম্পত্তির আসল অধিকারিণী ঘোষনা করে। সুতরাং আইন অনুযায়ী পতৌদি সম্পত্তির মালিকানা আর ভারতে নেই। তাই সইফ বা তাঁর সন্তানরাও আইনি পথ ছাড়া এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবে না।

X