বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড তারকাদের মধ্যে সবথেকে বৈচিত্রময় জীবন যাদের তাদের মধ্যে অন্যতম সইফ আলি খান (saif ali khan)। ৫১ বছর বয়সের মধ্যে দুই বিয়ে, চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার করা কি মুখের কথা? প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের (amrita singh) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিজের থেকে দশ বছরের ছোট করিনা কাপুর খানকে বিয়ে করেন তিনি। সারা, ইব্রাহিম, তৈমুর, জাহাঙ্গীরকে নিয়ে দিব্যি সুখে সংসার করছেন সইফ।
কিন্তু এত সুখ আগে কপালে ছিল না অভিনেতার। অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর ডাক ছেড়ে কাঁদার দশা হয়েছিল তাঁর। সারা, ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না তাঁর। উপরন্তু প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে গিয়ে দৈন্যদশা হয়ে গিয়েছিল সইফের।
২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সইফ অমৃতার। পাঁচ কোটি টাকা খোরপোশ দিতে হয়েছিল অভিনেতাকে। এক সাক্ষাৎকারে সে সময় সইফ বলেছিলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছি। ওকে আমি সম্মান করি কিন্তু আমাকে সবসময় এটা কেন মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে আমি কতটা খারাপ একজন স্বামী বা কতটা খারাপ একজন বাবা।”
তিনি আরো বলেন, “আমার ছেলে ইব্রাহিমের ছবি আমার মানিব্যাগে রয়েছে। যখনি সেটার দিকে তাকাই আমার কান্না পায়। আমার মেয়ে সারাকে সবসময় মিস করি। আমাকে ওদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। ওদের আমার সঙ্গে থাকা তো দূর, দেখা করারও অনুমতি নেই। কেন? কারণ এখন আমার জীবনে এক নতুন মহিলা রয়েছে যে ওদের মায়ের বিরুদ্ধে ওদের উসকাতে পারে।”
সইফ আরো জানিয়েছিলেন, অমৃতাকে পাঁচ কোটি টাকা খোরপোশ দেওয়ার কথা তাঁর। এর মধ্যে আড়াই কোটি দিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইব্রাহিমের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত বাড়তি এক লক্ষ টাকা করেও দিতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “আমি শাহরুখ খান নই। আমার কাছে অত টাকা নেই। কিন্তু আমি ওকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সব টাকা দিয়ে দেব, যদি মরণ পর্যন্ত আমাকে টানতে হয় তাও সই।”
অভিমানী সইফ বলেছিলেন, “আমি আমার সন্তানদের চাই, কিন্তু ঝগড়া করে নয়। যদি ওদের আমার থেকে দূরেই করে দিতে হয় তাহলে অমৃতা ওদের সারা সিং আর ইব্রাহিম সিং নাম দিয়ে দিক। সারার ১৮ বছর বয়স হলে ও বলুক, ‘যখন আমাদের তোমাকে দরকার ছিল তখন তুমি কোথায় ছিলে বাবা?’ কিন্তু আমি একটা অসম্ভব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গিয়েছি বলে আমাকে দগ্ধে দগ্ধে যেন মারা না হয়।”