পুজোয় ত্রুটি, ঝুঁকে পড়েছিল সাঁইথিয়ার বড় মায়ের মূর্তি! দলিত বরণ করতেই ঘটে গেল অলৌকিক ঘটনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আস্তিক এবং নাস্তিকদের দ্বন্দ্ব আজকের নয়, তা সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। কেউ বলেন ঈশ্বর (God) আছেন তো কেউ বলেন এই সমস্তকিছুই নিছক গালগল্প। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই দ্বন্দ্ব বেড়েছে অনেকটাই। হালফিলের সময়ে, একে অপরকে আক্রমণ করার প্রবণতাও বেড়েছে অনেকটাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বড় মায়ের অলৌকিক ভিডিও

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এমন এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখলে আপনার শরীরেরও রোম খাড়া হয়ে যেতে বাধ্য। উল্লেখ্য, কৃষাণু সিংহ নামক এক ব্যক্তি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন ফেসবুক প্লাটফর্মে। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই ভিডিও দেখলে বুঝবেন সত্যি ভগবানের অস্থিত্ব আছে, বিজ্ঞান কখনো কখনো হার মেনে যায়।’

বিরল ঘটনার সাক্ষী সাঁইথিয়াবাসী 

ঘটনার বিবরণ দেওয়ার আগে বলে রাখি, মূলত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বাউরি পাড়ার বড় মায়ের (Maa Kali)  বিসর্জনের ঘটনা। কালীপুজোর (Kali Puja) দিন এই মূর্তি তৈরি করে পুজো করা হয়। এরপর বিসর্জনের পর সারা বছর ঐ কাঠামোতে পুজো করা হয়। তবে অবাক করা বিষয় হল, এই মা কিন্তু কোনও ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের হাত থেকে পুজো নেননা‌।

আরও পড়ুন : ব্রিজ, রেল লাইন অতীত, রাতারাতি গায়েব আস্ত মোবাইল টাওয়ার! ঘুম ভাঙতেই তাজ্জব গ্রামবাসী

বড় মা পুজো নেন দলিত মানুষের হাতে

তিনি পুজো নেন, সমাজের তথাকথিত নিচু তলার মানুষ অর্থাৎ দলিত সম্প্রদায়ের ভক্তদের হাত থেকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবুও কোথাও কোনও কিছুতে খুঁত থেকে যাওয়ায়, বিসর্জনের সময় পুরো শরীর নামিয়ছ নেন মা। সমস্ত ভক্তরা যখন চিন্তায় উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই মা নিজেই স্বপ্নাদেশ দেন এক মহিলাকে। নির্দেশ আসে, ঐ ভদ্রমহিলাকে এসে বরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন : বোমা মেরে পর পর ১৫টি স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! শহরজুড়ে চাঞ্চল্য, শুরু খানাতল্লাশি

অবাক করা বিষয় হল, তিনি এসে বরণ করা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ান মা। হ্যাঁ, ঠিক এমনই অদ্ভুত এবং বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা সাঁইথিয়াবাসী। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মাত্রই ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কমেন্ট বক্স জুড়ে ভিড় জমেছে ভক্তদের। চাক্ষুষ না হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই এই বিরল ও অপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী রইল নেটিজগতের বাসিন্দারাও।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর