বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোর্স শেষ করে জব গ্যারান্টি। এই ধরনের বিজ্ঞাপন আমরা মাঝেমধ্যেই দেখতে পাই। তবে মোবাইল চুরির কোর্স করার পরও আজকাল নাকি দেওয়া হচ্ছে চাকরির নিশ্চয়তা! এমনই জানালেন দুই ছিনতাইবাজ। ছিনতাইবাজদের মুখে এই স্বীকারোক্তি শুনে বিস্মিত পুলিশও। ৪৫ দিনের একটি মোবাইল চুরির প্রশিক্ষণ।
তারপর হাতেনাতে মিলবে চাকরি। বেতন প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা। এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। গুজরাট পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোবাইল চুরির এই চক্র একাধিক রাজ্যে সক্রিয়। এই চক্রের কাজ হল ভিড়ের মধ্যে থেকে মোবাইল চুরি করে বিদেশে পাচার করে দেওয়া।
আরোও পড়ুন : ৭৭ বছর বয়সে নিভল জীবন দ্বীপ, প্রয়াত কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বিক্রম বাত্রার মা
এই চক্রের দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গুজরাটের আমদাবাদের পুলিশ বলছে, যে দুই ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ঝাড়খন্ড ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। কিছুদিন ধরে তারা সুরাতে থাকছিলেন। ধৃতদের একজন ১৯ বছর বয়সী অবিনাশ মাহাতো। অপরজন বছর ২৬ এর শ্যাম কুর্মি।
আরোও পড়ুন : ভেঙে পড়ল প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন চলাচল ব্যহত কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখায়! কখন ঠিক হবে? চিন্তায় যাত্রীরা
পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ২৯টি আইফোন এবং ন’টি ওয়ান প্লাস ফোন। ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, মোবাইল ফোন চুরি করার পর সেগুলিকে আনলক করে বাংলাদেশ ও নেপালে পাঠানো ছিল তাদের প্রধান কাজ। এই কাজের জন্য মাসিক বেতন মিলত তাদের। এমনকি তাদের একটি ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মোবাইল চুরির উপর।
তারপরই সেখান থেকে মিলেছে এই ‘চাকরি।’পুলিশ জানাচ্ছে, দুজন করে মিশে থাকতেন ভিড়ের মধ্যে। কারোর ব্যাগ কিংবা পকেটে নজর থাকে একজনের। সে মোবাইল চুরি করার সাথে সাথে সেটাকে অন্যজনকে হাত বদল করে দিতেন। আবার একজন ধরা পড়লে অন্যজন চম্পট দিতেন। এভাবেই চলত তাদের কাজ।