বাংলা হান্ট ডেস্ক : সীমা হায়দার (Seema Haider) এবং সচিন মীনা (Sachin Meena) সাম্প্রতিক সময়ে এই দুজনের নাম জানেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দুজনের প্রেমের গল্পও আজকাল সবার মুখে মুখে। দুজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, সচিন-সীমার প্রেমের গল্প সর্বত্র শিরোনামে রয়েছে। এদিকে তাদের দুজনের সামনে এল তিনটি বিরাট সুখবর ।
প্রথম সুখবর হল গুজরাটের এক ব্যবসায়ী তাকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুজনকেই মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়া হবে। সীমা-সচিনের পরিবার আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই গুজরাটি ব্যবসায়ী তাদের উদারতার সাথে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তাদের দুজনকেই মাসে ৫০-৫০ হাজার টাকায় চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থাৎ ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করে মাসে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন সীমা সচিন।
তথ্য অনুযায়ী, সোমবার গভীর রাতে গ্রেটার নয়ডার রবুপুর গ্রামে এক পোস্টম্যান অজানা চিঠি নিয়ে শচীন-সীমার বাড়িতে পৌঁছায়। অচেনা চিঠি দেখে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সীমা চিঠি খুলতে চেয়েছিল কিন্তু তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত জওয়ানরা তাকে তা করতে বাধা দেয়। তাঁরা ভেবেছিল এটি একটি হুমকিমূলক চিঠিও হতে পারে।
এর পরে পুলিস কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ সম্পর্কে জানান। কর্মকর্তাদের নির্দেশে চিঠিটি খুললে দেখা যায় যে গুজরাটের এক ব্যবসায়ী এটি সচিন এবং সীমাকে লিখেছিলেন। তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে, সীমা হায়দার এবং সচিনকে প্রতি মাসে 50,000 রুপি বেতনে গুজরাটে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, গুজরাটে পৌঁছে যে কোনো সময় চাকরিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। এ ছাড়া তাদের দুজনকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে।
দ্বিতীয় সুখবর হল সম্প্রতি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক অমিত জানি তাকে তার ছবিতে কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেও সীমার বাড়িতে গিয়ে চেকটা আগে থেকে দিতে প্রস্তুত ছিল। তবে এই প্রস্তাবে সীমা-সচিনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এমন কিছুই করবেন না।
তৃতীয় সুখবর হল এখন দুজনেই এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন যে তাদের ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারও হুহু করে বাড়ছে। অনেক ব্যবহারকারী তাদের অনুসরণ করছেন। একইভাবে, যদি গ্রাহক বাড়তে থাকে তবে তারা সেখান থেকেও আয় করতে পারেন।