বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় মহাকাশ ও গবেষণা সংস্থার (ISRO) প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন এস সোমনাথ। আর চন্দ্রযান ৩ মিশনের ক্ষেত্রে তার কৃতিত্বের কথা তো বলে শেষ করার নয়। পেশাগত দিক থেকে অত্যন্ত সফল এস সোমনাথের ব্যক্তিজীবন কেমন সেই বিষয়েই চলুন আলোচনা করা যাক।
এস সোমনাথের পুরো নাম শ্রীধরা পানিকার সোমনাথ। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বসেন তিনি। বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান তথা একজন মহাকাশ প্রকৌশলী এবং রকেট বিজ্ঞানী। মূলত, ২০১৮ সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে (VSSC) পরিচালক হিসাবে কাজ করার সময় খ্যাতি পান।
১৯৬৪ সালের জুলাই মাসে কেরালার আলাপ্পুঝারের অরুরে জন্য নেন এস সোমনাথ। সোমনাথের বাবা বেদামপারম্বিল ছিলেন পেশায় একটি স্কুলের হিন্দি শিক্ষক। এস সোমনাথ কেরালার কোল্লামের টিকেএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন। তারপর তিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালোর (IISC) থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করেন।
এরপর ১৯৮৫ সালে যোগ দেন বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। ২০১০ এর জুন থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জিএসএলভি এমকে-III প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে তিনি ‘স্ট্রাকচার্স’ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। এর পাশাপাশি ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস অবধি ভিএসএসসি তে ‘প্রপালশান এবং স্পেস অর্ডিন্যান্স’ এর ডেপুটি ডিরেক্টরও ছিলেন।
জিএসএলভি এর ৩ টি সফল মিশন এবং পিএসএলভি এর ১১ টি সফল মিশনে তাঁর বিশেষ কৃতিত্ব ছিল। মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছেন, পাইরোটেকনিক, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং, গতিবিদ্যাতেও অবদান রেখেছেন। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তামিলনাড়ুর SRM বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে ডক্টরেট অফ সায়েন্সে ভূষিত করে।
এখন, স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় এতটা দক্ষ এক বিজ্ঞানীর বেতনও হবে রীতিমতো তাক লাগানোর মত। প্রতি মাসে প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা বেতন পান এস সোমনাথ। বার্ষিক আয় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দুই থেকে ছয় কোটি টাকা। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় সোমনাথের অবদান বলে শেষ হওয়ার নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।