বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দীর্ঘদিন ধরে নারীদের কেনাবেচা চলে এলাকায়। এমনকি সরকারি স্টাম্প পেপারে দলিল সহ নারীদের ক্রীতদাসী বানানো হতো। এক্ষেত্রে নিলামে তোলার মাধ্যমে ক্রয় করা হতো বাড়ির মেয়েদের’, বর্তমানে রাজস্থান (Rajasthan) থেকে এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে উঠে আসতেই তদন্ত করতে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Women Commission) একটি দল। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে এলাকাবাসীদের ঋণ দেওয়া হতো। তবে পরবর্তীতে তা শোধ করতে না পারলে নিলামে তোলা হয়ে থাকতো মেয়েদের। এক্ষেত্রে বাড়ির মেয়েদের ক্রীতদাসী বানানোর পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, “আমাদের একটি দল রাজস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। তারা গোটা ঘটনা দেখার পাশাপাশি এক্ষেত্রে সরকারের কি ভূমিকা রয়েছে, সে সকল বিষয় খতিয়ে দেখবে।” এক্ষেত্রে রাজস্থানের মুখ্য সচিব এবং পুলিশের সঙ্গে দেখা করবেন রেখা শর্মা।
সংবাদমাধ্যম সূত্র মারফত সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে রাজস্থান থেকে। জানা যায়, রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে ঋণ শোধ করতে না পেরে নিলামে তোলা হয় দুই নাবালিকাকে। পরবর্তীতে তাদের মায়েদের ধর্ষণ পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাটি সামনে আসতেই ইতিমধ্যে রিপোর্ট চেয়ে বসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করার পাশাপাশি এই ঘটনায় আসরে নেমেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
কমিশন প্রধান রেখা শর্মা জানান, “এর আগেও এহেন ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসন কিংবা সরকার কেন কোন রকম পদক্ষেপ করেনি, তা খতিয়ে দেখতে হবে। রাজস্থানে স্ট্যাম্প পেপারে দলিল সই করার মাধ্যমে মেয়েদেরকে ক্রয় করতো কিছু মানুষ। পরবর্তীতে যৌন পেশায় কাজে লাগানোর পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে।”
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজস্থানে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের একটি দল। পাশাপাশি রাজস্থান প্রশাসনকে এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। যদিও এক্ষেত্রে সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ খাচারিয়াবাস। তাঁর দাবি, “এক্ষেত্রে যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাতে আসেনি। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে দেখা যাবে।”