বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘জঞ্জির’, এমন একটি ছবি যা প্রায় সব অভিনেতা অভিনেত্রীই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ছবিই শেষমেষ ‘ক্লাসিক’ হয়ে ওঠে আর জীবন বদলে দেয় অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan)। ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ লুক সুপারহিট হয়ে ওঠে। সঙ্গে বদলে যায় বিগ বির কেরিয়ারের গতিপথও। কিন্তু এত সাফল্য তাঁর যে মানুষটার জন্য তাঁর সঙ্গেই নাকি সম্পর্ক রাখেননি অমিতাভ।
তিনি সেলিম খান (Salim Khan)। সলমনের খানের বাবা বলিউডের নামী চিত্রনাট্য লেখকদের মধ্যে অন্যতম। অ্যাংরি ইয়াং ম্যান লুকটা তাঁর এবং জাভেদ আখতারের মস্তিষ্কপ্রসূত। পরবর্তীকালে অবশ্য তাঁদের মধ্যে ভাঙন ধরে। এবার সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সেলিম দাবি করলেন, অমিতাভ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি।
সম্প্রতি ছেলে আরবাজ খানের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে তিনি বলেন, ধর্মেন্দ্র, দেব আনন্দ, দিলীপ কুমার সবাই সিনেমাটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন তা যায় অমিতাভের কাছে। তাতেও আরেক সমস্যা। কোনো নায়িকাই সে সময়ে অমিতাভের মতো নবাগতর সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। শেষমেষ সেলিম খান আর্জি জানান জয়ার কাছে।
তিনি বলেছিলেন, ছবিতে জয়ার চরিত্রটা হয়তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু এই একটা ছবি অমিতাভের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেটাই হয়েছিল। সেলিম জানান, অমিতাভের উপরেও খুব আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁদের। তাই তাঁর হয়ে প্রচুর গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেলিমের আক্ষেপ, তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলেন না বিগ বি।
সেলিমের কথায়, ‘সম্পর্ক রাখার দায়িত্বটা অমিতাভের ছিল। খুব বড় তারকা হয়ে গেলে দেখা সাক্ষাৎ করা, সম্পর্ক বজায় রাখা কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। সেটা উনি কোনো কারণে করেননি।’। তারপরেও ১৯৮৯ সালে ‘তুফান’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেলিম অমিতাভ।
সলমনের বাবা বলেন, বিগ বির স্বভাবটাই এমন যে তিনি কাউকেই কখনো বেশি কাছে আসতে দেন না। যখনি তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন, অমিতাভ খুব পেশাদারিত্বের সঙ্গে করেছেন। কিন্তু সেলিম কখনো নিজেকে তাঁর বন্ধু বলে দাবি করেন না।