বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাথার উপরে ঝুলছে বিপদের খাঁড়া। একটু এদিক থেকে ওদিক হলে চলে যেতে পারে পিতৃদত্ত প্রাণটা। একবার একটুর জন্য শার্প শুটারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। তারপর থেকেই বারবার আসছে হুমকি চিঠি। এমতাবস্থায় আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন ভাইজান।
সলমনের সঙ্গে এখন জড়িয়ে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর নাম। কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার অনেকদিন ধরেই সলমনের উপরে নিশানা স্থির রেখেছেন। হুমকিও দিয়েছেন, যোধপুরে এলেই মারা পড়বেন অভিনেতা। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সলমনের নাম জড়ানোর পর থেকেই গ্যাংস্টারের হিটলিস্টে চলে এসেছেন সল্লু।
বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ পরম পূজ্য। আরাধ্যকে হত্যার অভিযোগ উঠতেই সলমনের উপরে ক্ষেপেছিল বিষ্ণোই সম্প্রদায়। আর তারপর থেকেই ভাইজানকে সারাক্ষণ মৃত্যুভয় দেখিয়ে চলেছেন লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিষ্ণোই দাবি করেছে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সলমন প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে কখনোই তাঁকে ক্ষমা করা হবে না।
পুলিস সূত্রে খবর, লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করেছেন, সলমন ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে প্রকাশ্যে জাম্বাজি মন্দিরে ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো বিষ্ণোইরা তাঁদের হত্যা করবে। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, তাদের ধর্মীয় গুরু ভগবান জাম্বেশ্বরের পুনর্জন্ম হল কৃষ্ণসার হরিণ। সেই হরিণকে হত্যা করে বিষ্ণোইদের ধর্মাবেগে আঘাত দিয়েছেন সলমন। অপরাধের শাস্তি তো তাঁকে পেতেই হবে।
কিছুদিন আগেই হুমকি চিঠি আসে সলমনের আইনজীবী হস্তিমল সারস্বতের নামে। পুলিসের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, আদালতে তাঁর চেম্বারের বাইরে হুমকি চিঠিটি পেয়েছেন তিনি। হিন্দিতে মাত্র কয়েকটি লাইন লেখা ছিল সেখানে। চিঠির বয়ান সেলিম ও সলমনের পাওয়া চিঠির মতোই।
অভিনেতার আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চিঠিতে হিন্দিতে লেখা ছিল, ‘মুসেওয়ালার মতো করে দেব!’ সংক্ষেপে L.B এবং G.B লেখা ছিল চিঠিতে। উল্লেখ্য, এই আইনজীবীই যোধপুর হাইকোর্টে সলমনের কৃষ্ণসার হরিণ মামলাটি লড়ছেন।
এসবের মাঝেই ইদে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনিতে দেখা মিলল না সলমনের। বাড়ির সামনে পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ করে দিয়েছেন ভাইজান। জনসমক্ষে না বেরোনোর চেষ্টাই করছেন তিনি। তাই ইদে অন্যবারের মতো এবার আর অনুরাগীদের দেখা দেননা ভাইজান।