বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইমেইল মারফত বারবার আসছে খুনের হুমকি। আর তারপরেই Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বলিউড (Bollywood) ভাইজান সলমান খানকে (Salman Khan)। সর্বদাই অভিনেতার সঙ্গে থাকেন বন্দুকধারীরা। এমনকি নিজেও একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক পেয়েছেন অভিনেতা। তবে এই সমস্ত ঘটনায় তিনি ঠিক কতটা আতঙ্কিত এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সলমান।
সম্প্রতি টেলিভিশন শো ‘আপ কি আদালত’ এ হাজির হয়েছিলেন সল্লু ভাই। সেখানেই নিজের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার চেয়ে ভালো নিরাপত্তার মধ্যে থাকা। আমি এখন যেখানে সেখানে সাইকেল চালিয়ে একা একা বেরিয়ে পড়তে পারি না। আমাকে সব সময় মুম্বাই পুলিশের কথা শুনে চলতে হচ্ছে। আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সে কারণেই এই নিরাপত্তা’।
অভিনেতার সংযোজন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন আমি ট্রাফিকের মধ্যে ফেঁসে যাই। আমার নিরাপত্তা রক্ষীদের কারণে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আমার কিছুই করার নেই। আমাকে এখন সেটাই করতে হবে যেটা পুলিশ বলবে। তবে আমি বিশ্বাস করি যেটা হওয়ার সেটা হবেই। আমি কেবলমাত্র ঈশ্বরের ওপর ভরসা রেখেছি। আমার চারপাশে এখন বন্দুকধারীরা ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝে সেটা ভেবেই আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি’।
সালটা ১৯৯৮। ‘হাম সাত সাত হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন সলমান খান। সেই অপরাধে ৫ বছর জেলে থাকতে হয়েছে অভিনেতাকে। কিন্তু তারপরও সন্তুষ্ট হচ্ছে না বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁদের কথায় কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতা রূপে পূজা করেন তাঁদের গ্রামের লোকজন। সেই হরিণ খুন করে গোটা সম্প্রদায়কে আঘাত করেছেন অভিনেতা।