বাংলাহান্ট ডেস্ক: কৃষ্ণসার (black buck) হরিণ শিকার মামলায় ফের সংবাদ শিরোনামে সলমন খান (salman khan)। এই মামলায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিনেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল যোধপুর জেলা আদালত। এবার হাজিরা এড়ানোর জন্য সেই রায়কে পালটা চ্যালেঞ্জ জানালেন বলিউডের ভাইজান।
সলমনের আইনজীবী জানান, হাজিরার দিন যাতে সশরীরে উপস্থিত থাকার বদলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যাতে সলমনকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। এর আগে ২০১৮ তে যোধপুরের জেলা ও সেশন কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন সলমন।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা নির্দেশ দেওয়া হয় অভিনেতাকে। তবে দুদিন পরেই রায় খারিজ করে জামিন দেওয়া হয় সলমনকে।
এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ে মুম্বইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শার্পশুটার। পুলিসের জেরায় সে স্বীকার করে সলমনকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। এমনকি সেই মতো আগে থেকে ব্যবস্থাপনাও হয়ে গিয়েছিল।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বছর ২৭ এর রাহুল আলিয়াস সাঙ্ঘি ওরফে আলিয়াস বাবা ওরফে আলিয়াস সুন্নি আদতে ভিওয়ানির বাসিন্দা। ১৫ অগাস্ট উত্তরাখন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ২৪ জুন প্রবীণ নামে ফরিদাবাদের এক রেশন ডিলারকে খুনের দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
ডিসিপি, হেডকোয়ার্টার্স রাজেশ দুগ্গলের কথায়, “জেরার সময় জানা যায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাহুল মুম্বই আসে সলমন খানকে খুনের ছক কষার জন্য। বান্দ্রায় অভিনেতার বাড়িও যায় সে এবং ওই এলাকাতেই থাকে দুদিন।” তিনি আরও জানান, বিষ্ণোই ও সম্পাত নেহরার কথাতেই এই কাজ করে রাহুল। সম্পাত নেহরাও এই একই অপরাধে ২০১৮ তে গ্রেফতার হন।
বিষ্ণোই এর কথায়, সলমনকে খুনের পরিকল্পনা করে সম্পাত নেহরা। হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। লরেন্স বিষ্ণোই হলেন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্য। এরা কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করে। পুলিসের অনুমান, ১৯৯৮ সালে সলমন খানের কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার জন্য অভিনেতার উপর এদের ক্ষোভ জন্মায়।