বাংলাহান্ট ডেস্ক: সলমন খান (salman khan) যে ঘোড়ার (horse) বেশ ভক্ত তা এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন। পানভেলে তাঁর ফার্ম হাউসে রয়েছে একাধিক ঘোড়া। তাদের নিজেই যত্ন আত্তি করেন ভাইজান। বহুবার ঘোড়ায় চড়ে ফার্ম হাউসের মধ্যে ঘুরতে দেখা গিয়েছে সলমনকে। নিত্য নতুন ঘোড়া কেনার শখও রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার পছন্দের ঘোড়া কেনার জন্য কোটি কোটি টাকা দর হাঁকিয়েই খালি হাতে ফিরতে হল সলমনকে।
পাঞ্জাবের ফরিদকোটে ঘোড়ার মেলায় বহু দামি দামি ঘোড়া আসে। এর মধ্যে বিশেষ কয়েকটি ঘোড়াও শামিল থাকে। সে সব ঘোড়া দেখার জন্য দূরদূরান্ত থাকে দর্শক এসে ভিড় করে মেলায়। এমনি একটি ঘোড়া কেনার জন্য কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মালিককে। কিন্তু ঘোড়ার মালিক ফিরিয়ে দেয় অভিনেতার প্রস্তাব।
দেবরাজ নামে ওই ঘোড়ার মালিক আমনপ্রীত সানি গিল জানান বহু ঘোড়াপ্রেমীই তাকে কেনার জন্য প্রস্তাব রেখেছেন আমনপ্রীতের কাছে। এমনকি এই ঘোড়া কেনার জন্য যেকোনো মূল্য দিতে রাজি রয়েছেন তারা। কিন্তু আমনপ্রীত বিক্রি করেননি দেবরাজকে। তিনি জানান শুধু মাত্র নিজের শখের জন্যই দেবরাজকে পালন করছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০০ ঘোড়া অংশগ্রহণ করেছিল। পাঞ্জাব ছাড়াও রাজস্থানের আজমের, জয়পুর থেকেও এসেছিল বিভিন্ন প্রজাতির ঘোড়া। তাদের দাম শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। পাঁচ লক্ষ থেকে শুরু করে পাঁচ কোটি টাকার ঘোড়াও অংশগ্রহণ করে এই মেলায়।
এর আগে শোনা গিয়েছিল প্রতারণা করে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় রাজস্থানের এক মহিলার থেকে। বলিউডের ভাইজান বেচে দেবেন নিজের সাধের ঘোড়া। সেই ঘোড়া কিনতে গিয়েই ১২ লক্ষ টাকা গচ্চা যায় মহিলার।
রাজস্থানের বাসিন্দা সন্তোষ ভাটি ঘোড়া কিনবেন বলে মনস্থ করেছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর আলাপ হয় তিন যুবকের সঙ্গে। রাজপ্রীত, নির্ভয় সিং ও আরেক যুবক তাঁকে সলমন খানের ঘোড়ায় চড়ার একটি ছবি দেখান। তারা জানান অভিনেতা নাকি সেই ঘোড়াটি বিক্রি করে দেবেন।
মহিলাকে টোপ দেওয়া হয়, এখন যদি তিনি সলমনের নিজের ঘোড়াটি কিনে নেন তাহলে পরে তা আরো বেশি দামে বেচে দিতে পারবেন। টোপ গিলেও নেন ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, যুবকদের কথা মতো প্রথমে ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও পরে আরো এক লক্ষ টাকা চেক ঘোড়ার দাম বাবদ মিটিয়ে দেন ওই মহিলা।
কিন্তু ওই তিন যুবকের কথা মতো ঘোড়া নেওয়ার সময় নির্দিষ্ট জায়গায় বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা মেলেনি তাদের। তারপরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো ফল না মেলায় রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
উলটে আদালত তাঁকে নির্দেশ দেয় স্থানীয় থানার ডেপুটি কমিশনারকে অভিযোগ জানাতে। মহিলার অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশও আদালত দেয় থানার ডেপুটি কমিশনারকে।