বাংলাহান্ট ডেস্ক: জীবন শঙ্কায় সলমন খানের (Salman Khan)। এতদিন তাঁর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত গোটা বলিউড। আর এখন তিনি নিজেই ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া। নাগাড়ে খুনের হুমকি পেয়ে চলেছেন ভাইজান। প্রথমে তাঁর ও তাঁর বাবা সেলিম খানের নামে আসে হুমকি চিঠি। পাত্তা না দেওয়ায় আইনজীবী হস্তিমল সারস্বতের নামে আসে চিঠি। সবগুলোর বয়ান একই। প্রাণের ভয়ে শেষমেষ মুম্বই পুলিস কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন সলমন।
শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ মুম্বই পুলিস হেডকোয়ার্টারসের বাইরে এসে থামে তাঁর গাড়ি। জানা যাচ্ছে, পুলিসের জয়েন্ট কমিশনারের (আইন শৃঙ্খলা) সঙ্গেও দেখা করেছেন সলমন। নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে শোনা গেলেও সূত্রের খবর বলছে, আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার আবেদন জানাতেই পুলিস কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছিলেন সলমন।
সলমনের সঙ্গে এখন জড়িয়ে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) এর নাম। কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার অনেকদিন ধরেই সলমনের উপরে নিশানা স্থির রেখেছেন। হুমকিও দিয়েছেন, যোধপুরে এলেই মারা পড়বেন অভিনেতা। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সলমনের নাম জড়ানোর পর থেকেই গ্যাংস্টারের হিটলিস্টে চলে এসেছেন সল্লু।
বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ পরম পূজ্য। আরাধ্যকে হত্যার অভিযোগ উঠতেই সলমনের উপরে ক্ষেপেছিল বিষ্ণোই সম্প্রদায়। আর তারপর থেকেই ভাইজানকে সারাক্ষণ মৃত্যুভয় দেখিয়ে চলেছেন লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিষ্ণোই দাবি করেছে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সলমন প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে কখনোই তাঁকে ক্ষমা করা হবে না।
সলমনকে মারতে তাঁর বাড়ির বাইরে শার্প শুটারও নিয়োগ করা হয়েছিল বলে খবর। তিনি একা হতেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু একটুর জন্য রক্ষা পেয়ে যান ভাইজান। গত ইদে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনিতেও দেখা মেলেনি সলমনের। বাড়ির সামনে পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ করে দিয়েছেন ভাইজান। জনসমক্ষে না বেরোনোর চেষ্টাই করছেন তিনি। তাই ইদে অন্যবারের মতো এবার আর অনুরাগীদের দেখা দেননি ভাইজান।