বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রিসমাসের রাত পোহাতেই হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছিল বিটাউনে। সলমন খানকে (salman khan) সাপে কামড়ানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। তবে সাপটি বিষধর না হওয়ায় এ যাত্রা ফাঁড়া কাটিয়ে উঠেছেন সলমন। আজ ৫৬ তে পা দিলেন ভাইজান। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলেই খবর।
রবিবার রাতে সলমনের পানভেলের ফার্ম হাউসের বাইরে জড়ো হয় পাপারাৎজি। বাইরে বেরিয়ে ছবির জন্য পোজও দেন অভিনেতা। তখনি তিনি জানান, একটি সাপ ফার্ম হাউসের একটি ঘরে ঢুকে এসেছিল। বাচ্চারা তাতে ভয় পেয়ে যায়। তাই একটি লাঠি দিয়ে সাপটিকে তুলে তিনি বাইরে ফেলে দিতে যান। কিন্তু লাঠি বেয়ে ধীরে ধীরে সাপটি সলমনের হাতে উঠে আসে। সঙ্গে সঙ্গে অন্য হাত দিয়ে সাপটিকে চেপে ধরেন তিনি।
এদিকে শোরগোল শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন ফার্ম হাউসের কর্মীরা। তারা সাপটিকে বিষধর ভেবে আরো চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। এত গণ্ডগোলের মাঝে সাপটি তিন তিনবার ছোবল মারে ভাইজানের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সাপটিকেও সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায় যে সেটি বিষধর নয়। ইঞ্জেকশন নিয়ে ছয় ঘন্টা হাসপাতালে থাকার পর রবিবার সকালে ছাড়া পান সলমন।
এমন ফাঁড়া কাটিয়ে রসিকতা ভোলেননি অভিনেতা। মজার সুরে তিনি বলেন, ‘আমি ফিরে আসার পর সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার বোন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাই ওর জন্য আমি সাপটির সঙ্গে ছবি তুলে নিয়েছি। সাপের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। আমার বাবা জিজ্ঞাসা করছিলেন যে সাপটা বেঁচে আছে? আমি উত্তর দিলাম, সাপও বেঁচে আছে টাইগারও বেঁচে আছে।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে কাত হয়ে শুয়ে রয়েছেন সলমন। পরনে কালো টি শার্ট ও জিন্স। হাসপাতালের বেডে এক হাত মাথার নীচে দিয়ে চোখ বুজে শুয়ে রয়েছেন তিনি। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করা রয়েছে।