বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক ভাইয়ের বিয়ে আগেই ভেঙেছিল। দীর্ঘ দিনের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টেনে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরা। এবার ছোট ভাইয়ের সংসারটাও বাঁচাতে পারলেন না সলমন খান (Salman Khan)। বিচ্ছেদের পথে সোহেল খান (Sohail Khan) ও সীমা খান (Seema Khan)।
শুক্রবার বান্দ্রার একটি ফ্যামিলি কোর্টে পাপারাৎজির ক্যামেরা বন্দি হন সোহেল আর সীমা। খবর বলছে, দীর্ঘ ২৪ বছর পর বিয়ে ভাঙছেন তাঁরা। দুজনের আলাদা হওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে আদালতে নাকি একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারই করেছেন সোহেল ও সীমা। আদালত থেকে আলাদা আলাদা ভাবে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায় দুজনকে।
সলমনের ভাই আর ভ্রাতৃবধূ যে আর একসঙ্গে থাকেন না সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। করন জোহরের ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ এর শোতে ছিলেন সীমা খানও। তখনি তিনি জানিয়েছিলেন, সোহেলের সঙ্গে আর এক ছাদের তলায় থাকেন না তিনি।
তবে সীমা জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে না থাকলেও তাঁরা একটা পরিবারের মতোই। তিনি, সোহেল আর দুই ছেলে এখনো একটা পরিবার। দুজনের পথ আলাদা হলেও দিনের শেষে তাঁদের খুশিই সবথেকে জরুরি সীমার কাছে।
দিল্লির বাসিন্দা সীমা ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে মুম্বই আসেন। এখানেই সোহেলের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা। জানা যায়, প্রথম বার দেখাতেই সীমাকে মন দিয়ে বসেছিলেন সোহেল। দুজনে ডেটিংও শুরু করে দেন। কিন্তু বিয়েতে বাদ সাধে সীমার পরিবার।
কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র ছিলেন না সোহেল। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় তাঁর ছবি ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’। ছবির মুক্তির দিনই সীমাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে পালান সোহেল। আর্য সমাজ মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নেন দুজনে। তখন দুই পরিবারই দুজনের বিয়েতে রাজি হয়। সোহেল ও সীমার দুই ছেলে নির্বাণ ও য়োহান।