বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। গতকাল, আদালতে পেশ করা হয়েছিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলকে। বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ছিল শুনানি। আদালতে বিচারপতি সিবিআইকে (CBI) প্রশ্ন করেন, ‘রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? গুরু কে হয়? ভক্তের ভগবান। এদের গুরু কে?’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তরফে জানানো হয় গোয়েন্দারা সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছেন। এজলাসের এই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল রাজনীতির অন্দরে।
একদিকে যেখানে ‘গুরু’কে খুঁজে পেতে মরিয়া গোয়েন্দা সংস্থা, অন্যদিকে এই আবহেই মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি গুরু দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছে। তাহলে দিলীপ ঘোষ ভগবান হবেন না কেন?’ কুণালের এই মন্তব্য ঘিরেই দানা বেঁধেছে জোর বিতর্ক।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল মুখপাত্র। একজোটে দিলীপ, শুভেন্দুকে আক্রমণ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে কুণাল বলেন, ‘যদি প্রসন্নর বাড়ি দিলীপ ঘোষের সম্পত্তির দলিল পাওয়া যায়, তাহলে বাইরে ঘুরছেন কীভাবে? কেন গ্রেফতার হননি? দিলীপ ঘোষকে কাস্টডিতে নিয়ে তদন্ত হোক। গুরু কেন দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী নয়? শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির যতজন আত্মীয় আছেন, তাদের চারপাশের লোকগুলিকে দেখুন কতগুলি সরকারি চাকরি হয়েছে, কতগুলি শিক্ষা দফতরের চাকরি রয়েছে? ইঙ্গিত শুধু এদিকে আসবে কেন?”
গতকাল কুণালের করা এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো ধুন্ধুমার বঙ্গ রাজনীতিতে। অবশ্য তৃণমূল মুখপাত্রের করা মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। কুণালকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে তার বক্তব্য, ‘দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতি যদি প্রমাণ করতে পারে, দিলীপ ঘোষ বেআইনিভাবে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তা যদি কোনওদিন প্রমাণ করতে পারে, সেই মুহূর্ত থেকে দিলীপ ঘোষ পাবলিক লাইফ থেকে সরে যাবেন। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ তুলে শমীক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন এমন কোনও চিকিৎসককে পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি তৃণমূলকে শুভেন্দু অধিকারী সিনড্রোম থেকে মুক্ত করতে পারেন। কারণ, শুভেন্দু-আতঙ্ক কার্যত জলাতঙ্কের মতো ওদের গ্রাস করেছে।’ চ্যালেঞ্জ, পাল্টা-চ্যালেঞ্জে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।