বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক বিজেপির নেতা শমিক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন দোরগোড়ায়। সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজের মত করে ঘর গোছাতে ব্যস্ত। রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস। নাছোড়বান্দা বিজেপিও। প্রথম রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তারা। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের নেতারা একের পর মিটিং মিছিল করে জনসমর্থন জোটাতে ব্যস্ত। আরেকদিকে চলছে দল ভাঙার খেলা।
আর এর মধ্যে মমতা সরকারকে একহাতে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করলেন বিজেপির নেতা শমিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকারের নামে মমতা সরকার কিছু কাগজ বিলি করে ভাবছে মানুষের ভোট পেয়ে যাবেন। তিনি কাটমানি প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১০ শতাংশ দলের ফান্ডে যাবে, সেই হিসেবে তৃণমূল ১০ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা কাটমানি খেয়েছে।
তিনি তথ্য তুলে ধরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন কাটমানি প্রসঙ্গে সমব্যাথি প্রকল্প থেকেও ২০০ টাকা কাটমানি দিতে হবে। ২০০০ টাকার থেকে ২০০ টাকা কাটমানি। মানে ১০ শতাংশ কাটমানি দলে ঢুকবে। সেই হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ২৫ হাজার কোটি টাকা সরকারি প্রকল্পে খরচ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ হাজার কোটি টাকার ১০ শতাংশ আড়াই হাজার কোটি টাকা এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের ফান্ডে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর তিনি তৃণমূল নেত্রী দোলা সেনের বক্তব্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ৭৫ আর ২৫ এর ভাগ অনুযায়ী সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার কাটমানি তৃণমূল দলে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, যেদিন মমতা সরকার ক্ষমতায় আসে সেদিন রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর পর সেই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, অর্থনীতিবীদদের হিসেব অনুযায়ী, যেদিন এই সরকার চলে যাবে সেদিন নতুন সরকারের মাথায় ৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপবে। তিনি কৃষকদের প্রতি বঞ্চনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার কৃষকদের ছয় হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। রাজ্য সরকার কৃষকদের সেই প্রকল্প থেকেও বঞ্চিত করে রেখেছে। রাজ্যের কৃষকরা অনলাইনে আবেদন করলেও রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দিচ্ছে না।