বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্গা পুজোর অষ্টমী থেকে ঘটনার সূত্রপাত। বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো (durga puja) মন্ডপ থেকে হামলার খবর উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে, দুর্গা পুজোয় কোরানের (quran) অপমান করা হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা বড় আকার ধারণ করে। অন্যায়ভাবে মন্ডপের ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। মাঝপথেই অসম্পূর্ণ থেকে যায় দুর্গা পুজো।
এখানেই শেষ নয়, এরপর ১০ টি জেলা জুড়ে শুরু হয় তান্ডব, চলতে থাকে একের পর এক মণ্ডপে হামলা। ভেঙে দেওয়া হয় একাধিক পুজো মণ্ডপ, প্রতিমা। শুধু দুর্গাপ্রতিমাই নয় অন্যান্য বেশকিছু মন্দিরেও হামলা চালানো হয়। কয়েকদিন আগেই নোয়াখালীর ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত্যুও হয় এক সদস্যের। এরআগেও প্রাণ হারিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন, সব মিলিয়ে এই অশান্তির জেরে ম্লান হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর মিলন উৎসব।
যদিও ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং জানিয়েছেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ধর্ম বিচার করা হবে না প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে। অন্যদিকে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরাও। কিন্তু তাও নানাভাবে অশান্তির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এক এক করে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে সামনে এসেছে একাধিক ভাংচুরের ঘটনা।
https://www.youtube.com/watch?v=3sjTBmFN_VM
বাংলাদেশের এই হিংসার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ভারত থেকে আমেরিকা, পদ্মাপারের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিশিষ্ট জনেরা। এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হওয়া নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ভারত-বাংলাদেশের করিমগঞ্জ বর্ডারে এসে প্রতিবাদী আন্দোলন প্রদর্শন করল পশ্চিমবঙ্গের সনাতন সমাজ।