বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) নিজ রাজ্যে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন বলি অভিনেতা সোনু সূদ (sonu sood)। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিজের খরচায় বাস ভাড়া করে তাদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সবটাই সরকারের অনুমতি নিয়েই তিনি করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। একথা সকলেই জানেন।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেই ১০টি বাস ভাড়া করে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন অভিনেতা। মুম্বই থেকে কর্ণাটকে যাবেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের সব দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেতা।
গোটা দেশের মানুষের কাছে হিরো হয়ে উঠেছেন সোনু। সকলেই নিজের নিজের মতো করে তাঁকে সম্মান প্রদান করার চেষ্টা করছেন। এবার স্যান্ড আর্টিস্ট অশোক বালিতে সোনুর প্রতিকৃতি তৈরি করে তাঁকে সম্মান জানালেন। অশোকের কথায়, সোনু সূদের জন্য তো আমরা যাই করি কম পড়বে। উনি মানুষের জন্য যা করেছেন আমরা সবাই ওনার কাছে ঋণী। কিন্তু আমরা ওনাকে সম্মান তো জানাতেই পারি।
অশোকের শিল্পকীর্তির ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোনু। শুধু তাই নয়, কবিতার মাধ্যমেও এক যুবক কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেতাকে। তিনি বলেছেন, ছবিতে সোনু ভিলেনের অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনে হিরোর মতোই কাজ করেছেন।
https://twitter.com/SonuSood/status/1265919232950202374?s=19
সম্প্রতি জানা গিয়েছিল এক পরিযায়ী শ্রমিক মহিলা তাঁর নবজাত সন্তানের নাম রেখেছেন সোনুর নামে। অভিনেতার প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপই এমনটা তিনি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সোনু জানান, ১২ মে পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দলকে মুম্বই থেকে দ্বারভাঙ্গা পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দুজন মহিলা গর্ভবতী ছিলেন। বাড়ি পৌঁছে তাদের মধ্যে একজনের ছেলে হয়। ওই পরিবার সোনুকে ফোন করে জানান, তাদের ছেলের নাম তারা রেখেছেন সোনু সূদ শ্রীবাস্তব। এই কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেতা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি আমন্ত্রণ জানান সোনুকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের শ্রমিকদের জন্য যা করছেন তিনি তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানান রাজ্যপাল। সোনু আরও জানান, প্রতিদিন সারা দেশ থেকে প্রায় ৫৬ হাজার মেসেজ আসে তাঁর কাছে। অভিনেতার কথায়, এটা একটা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু মানুষের সাহায্য করার মধ্যেও আনন্দ আছে।
তবে এসবের মাঝে একদমই বিশ্রাম নিতে পারছেন না সোনু। তিনি জানান, এক একদিন ভোর ৪টে পর্যন্ত জাগতে হচ্ছে তাঁকে। আবার কখনও সকাল ৬টা পর্যন্ত ফোনেই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।