বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিগত কয়েকদিনে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর এই আন্দোলনের সত্যতা একপ্রকার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের তরফ থেকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে এমনটা করা হয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে একদিকে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তখন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঘটে গেল এক বিরাট কাণ্ড।
সন্দেশখালি নিয়ে ফের শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। শীর্ষ আদালতে নতুন আবেদনপত্র (Petition) দাখিল করা হয়েছে। মূল যে মামলা (Sandeshkhali Case) রয়েছে তার সঙ্গেই শুনানির আবেদন করা হয়েছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
বিচারপতি এদিন আবেদনকারীদের থেকে জানতে চান, আপনারা কি তদন্ত সমর্থন করছেন? জবাবে আবেদনকারীরা বলেন, আমরা স্বাধীন তদন্ত চাই। এর ফলে সন্দেশখালি কাণ্ডে নতুন এক মাত্রা যোগ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! আমফানের মাসেই ফের ছারখার বাংলা? সাইক্লোন নিয়ে বড় আপডেট
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির বুকে জমি দখল, ভেড়ি দখল থেকে শুরু করে ধর্ষণ সহ যত অভিযোগ উঠেছিল, সেই সকল ঘটনার তদন্তভার CBI-য়ের হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। গত এপ্রিল মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যদিও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
একইসঙ্গে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, মামলা চলছে বলে তদন্ত আটকানো যাবে না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ব্যক্তিগত লোকের স্বার্থরক্ষার জন্য রাজ্য কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে? CBI যদি তদন্ত করে তাহলে অসুবিধা কোথায়?
এই মামলায় অতিরিক্ত তথ্য পেশ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ২ সপ্তাহ সময় চায় রাজ্য। তবে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী জুলাই মাসে। এই শুনানির রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে ফের একবার শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করল সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ।