বাংলা হান্ট ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে প্রতি মুহূর্তেই আসছে নিত্য নতুন মোড়। আর এবার এই ভোটের আবহেই সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনাকে সম্পূর্ণ সত্যি (Real Incident) বলে দাবি করতে শোনা গেল তৃণমূলেরই (TMC) নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির একজন সদস্যাকে।
সম্প্রতি এবিপি আনন্দের একটি ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে মুখ না দেখালেও তৃণমূলের একজন মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর সত্যিই অত্যাচার হয়েছে। এবং তাঁকেও নানান কুরুচিকর প্রস্তাব দিয়ে শিবু হাজরা,উত্তম সর্দারের নাম করে ভয় দেখানো হয়েছে।
যার ফলে সবমিলিয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে কার্যত উত্তেজনায় ফুটছে গোটা বাংলা। সম্প্রতি সন্দেশখালি নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিও। তারমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে একটি স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও।
ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর সেইসাথে আর্জি জানানো হয়েছে এফআইআর দায়ের করার-ও। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ওই স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে সন্দেশখালির সমস্ত ঘটনা নাকি আসলে সাজানো ঘটনা। যদিও সেই স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
আরও পড়ুন: জাল নথি বানিয়ে ৪০০ কৃষকের জমি বিক্রি! ‘মাফিয়াদের’ ধরতে এবার পথে নামলেন BJP প্রার্থী অনির্বাণ
তবে ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিজেপিকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের দাবি সন্দেশখালিতে ঘটনা তার সবটাই নাকি বিজেপির ষড়যন্ত্র। ভাইরাল ভিডিওগুলিতে নাকি তা প্রমাণও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কি ছিল সেদিনের ওই স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিওতে?
আসলে ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালীর স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত এক ব্যক্তি দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের ধর্ষণ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়। স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল ওই ভিডিওতে এক মহিলার নাম করে বলেন তাকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস আগে গণধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ জানাতে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্ট্রিং অপারেশনের ওই প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি অংশে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, ‘শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে সব হয়েছে’। যদিও ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়ে গিয়েছেন এই গঙ্গাধর কয়াল।