বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সব অভিযুক্তরাই ধরা পড়লে নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন। বাঘের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে কথা হচ্ছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘বাঘ’ ইডির উপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh)। আগেও একাধিকবার তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন শাহজাহান। শুক্রবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পথে সেই একই কথা শোনা গেল শাহজাহানের মুখে।
সিবিআই এর পর বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স এখন বাদশার ঠিকানা। আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ খোলেন শাহজাহান।
এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যাওয়ার পথে চিৎকার করে শাহজাহান বলেন, ‘বিজেপির দালালেরা’ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন। তবে ‘দালাল’ বলে কারও নাম নেয়নি শাহজাহান। পাশাপাশি তার মেয়ের নামের সংস্থার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেন শাহজাহান শেখ।
প্রসঙ্গত, গতকালই শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শাহজাহানের একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি মৎস ব্যবসায়ী শাহজাহানের মাছ ব্যবসা সংক্রান্ত সংস্থা ‘মেজার্স শেখ সাবিনা ফিশ সাপ্লাই ওনলি’-র একটি অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ় করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি সূত্রে খবর, শাহজাহান শেখের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। যার মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য প্রাথমিকভাবে ইডির হাতে এসেছে। পাশাপাশি অভিযুক্তর প্রায় ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ইডির স্ক্যানারে। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের লেনদেনও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: সবথেকে সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গে একজনের ধর্ষণের অভিযোগ সত্যি হলেও দুর্ভাগ্যজনক: প্রধান বিচারপতি
শাহজাহানের মেয়ের সংস্থাটির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ এনেছে ইডি। এদিকে শুক্রবার সে সব অভিযোগই উড়িয়ে সন্দেশখালির বাদশা বলেন, ‘‘সব মিথ্যা কথা। কেন এগুলো বলছেন! সব দালাল। বিজেপির দালাল।’’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারও মুখ খোলেন শাহজাহান। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ এদিনও এই একই কথা শোনা গেল শাহজাহানের মুখে।