বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘বাঘ’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। বিগত প্রায় এক বছর ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। এবার কি আরও বাড়ল তাঁর চাপ? সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই সেই বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)।
আরও বাড়ল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) চাপ?
সম্প্রতি সন্দেশখালির এই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জেলে বসে হুমকি ফোন করার অভিযোগ উঠেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে, ভুয়ো নথি দিয়ে সুদূর নাগাল্যান্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স জোগাড় করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর কয়েকজন সঙ্গী। গত বছর এপ্রিল মাসে এক শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে সন্দেশখালির ‘বাঘে’র নামে।
প্রশ্ন ওঠে, একজনের নামে কীভাবে চারটি লাইসেন্স থাকতে পারে? তদন্ত করার পর জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গ নয়, বরং নাগাল্যান্ড থেকে সেই লাইসেন্স জোগাড় করা হয়েছিল। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার খাতিরে একজন ব্যক্তি একটি মাত্র আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেয়ে থাকেন। সেখানে কীভাবে চারটি লাইসেন্স পেলেন সন্দেশখালির এই বহিষ্কৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা? এখন দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ ‘সাংঘাতিক কিছু একটা খবর হতে চলেছে’! মমতা লন্ডন সফরে বেরোতেই বিস্ফোরক রচনা
জানা যাচ্ছে, গত বছর লোকসভা ভোটের আবহে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের পরেই তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। নাগাল্যান্ড থেকে লাইসেন্স জোগাড় করার কথা জানার পর সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তখন জানা যায়, ভুয়ো নথি দিয়ে ওই লাইসেন্সগুলি জোগাড় করেছিলেন শাহজাহান। তিনি একা নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজনের নামে হওয়া লাইসেন্সও সেখান থেকে তৈরি হয়েছে এসেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সেসব সম্বন্ধেও গোয়েন্দারা তথ্য জোগাড় করছেন।
এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠদের ওই লাইসেন্সও কি ভুয়ো নথির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি রক্ষার্থের জন্য তাঁদের নামে ওই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ নেওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের সম্পত্তি বা প্রতিপত্তি কিস্যু নেই! তাহলে কেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল? সেসব জানতেই সিবিআই আধিকারিকরা গত শনিবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, হুমকি ফোনের বিষয়েও তাঁকে জেরা করা হয়েছে।