বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন তিনি। বিগত প্রায় এক বছর ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে দিন কাটছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। সম্প্রতি জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মাঝেই সামনে আসছে বড় খবর!
আরও বিপাকে সন্দেশখালির শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)?
গত বছরের শুরুতেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এরপর থেকে প্রায় দু’মাস গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। এদিকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের একাংশ। নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে জমি দখল, একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
দীর্ঘ টালবাহানা শেষে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ মতো শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই থেকে প্রায় এক বছর ধরে জেলবন্দি সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। এবার ২০১৯ সালের একটি খুনের মামলায় নাম জড়াল তাঁর।
আরও পড়ুনঃ পার্থর মামলায় CBI-কে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের! হঠাৎ কী হল? নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মোড়
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই বছর সন্দেশখালির বুকে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ ওঠে, শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা অভিযুক্ত থাকার কারণে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এবার এই মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের আবেদন জানান আবেদনকারী।
জানা যাচ্ছে, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই বিষয়ে রাজ্য ও মামলাকারীদের কাছে নির্দিষ্ট বেশ কিছু তথ্য চেয়েছেন। এবার তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে রায় দেবেন বিচারপতি। অনেকের মতে, এই মামলার ক্ষেত্রে যদি আদালতের তরফ থেকে নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় তাহলে শেখ শাহজাহানের চাপ আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য,অনুব্রত মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা, গত বছর কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে জামিন পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। এদিকে বছর খানেক ধরে জেলবন্দি সন্দেশখালির শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। এখনও কেন জামিন পাচ্ছেন না? এই কারণে সম্প্রতি নিজের আইনজীবী বদল করেন তিনি। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থও হয়েছেন। সেই আবহেই পুরনো মামলায় নাম জড়াল শাহজাহানের।