বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে ক্রমশই চড়ছে রাজনীতির পারদ। মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বাধা দেয় রাজ্য পুলিশ। হাই কোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বারংবার বাধা দেওয়ায় এদিন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। সেই সময় তার বিরুদ্ধে ধামাখালিতে জনৈক পুলিশ কর্তা জশপ্রীত সিংকে ‘খালিস্তানি’ বলে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে। আর ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য নিয়েই সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।
ইতিমধ্যেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে শাসকদল। পুলিশ অফিসারকে ‘খালিস্তানি’ আক্রমণের নিন্দা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।
গতকাল সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতিম সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি সুপ্রতিম সরকারকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম।তার মধ্যে ধামাখালিতে পুলিশ অফিসারকে আমি ‘খালিস্তানি’ বলেছি, যদিও একথা প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আমি রাজ্য পুলিশের এডিজির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’
শুভেন্দুর দাবি, “আমি বা আমার দলের কেউ কোনও ধর্মকে আক্রমণ করে কিছু বলেনি। আগামীদিনেও কখনও এরম কিছু ঘটবে না। আমরা গুরু নানকজিকে প্রণাম করি। শিখ ধর্মকে সম্মান করি।” বরং শুভেন্দুর পাল্টা দাবি, ” জনৈক পুলিশ অফিসার চিৎকার করে আসলে মুখ্যমন্ত্রীর সুনজরে আসতে চেয়েছেন।
সন্দেশখালিতে তার যাওয়ার পর জনপ্লাবন হয়েছিল তা থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। ওদিকে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘জনৈক পুলিশ অফিসার যসপ্রিত সিংকে ‘খালিস্তানি’ বলে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা এমন কোনও মন্তব্য করতে পারেন না যা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আঘাত করে। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।’’
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি! কিছুক্ষণেই সব লন্ডভন্ড, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় জারি হল হলুদ সতর্কতা
‘খালিস্তানি’ মন্তব্যের জেরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শিখ সম্প্রদায়। মঙ্গলের পর বুধবারও রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। বিজেপিকে সাঁড়াশি আক্রমণে নেমেছে আপ-কংগ্রেস। খালিস্তানি মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। এদিকে BJP-র সর্বভারতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যর অভিযোগ, সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূলের নেতৃত্বে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।