বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের সাতদিনই কোনও না কোনও কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বিগত কয়েকদিনে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার ফলে এক প্রকার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালির আন্দোলনের সত্যতা। বিজেপির (BJP) দাবি, সন্দেশখালির বুকে যে আন্দোলন হয়েছে সেটাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস এমনটা করেছে। পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও (TMC)। এই আবহে সন্দেশখালি আন্দোলনে যোগ হল এক নতুন মাত্রা।
সোমবার রাতে দেখা গেল, লাঠি-ঝাঁটা হাতে গ্রাম পাহাড়া দিচ্ছেন একদল মহিলা। রাতের বেলায় পুলিশি অভিযান আটকানোর জন্য ‘রাত্রি জাগো’ কর্মসূচি (Raatri Jaago Campaign) করেন মহিলারা। রাতভর গ্রাম পাহাড়া দেন মহিলারা আন্দোলনকারীরা। এর ফলে সন্দেশখালি আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রবিবার বিজেপির তরফ থেকে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও কর্মসূচির পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল এলাকা। থানার সামনে জড়ো হন মহিলারা, কার্যত পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর সেই জমায়েত থেকে বিজেপির মহিলা কর্মীরা আবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ মল্লিককে ধাওয়া করলে ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।
আরও পড়ুনঃ ধামাকা! DA নিয়ে বিরাট আপডেট, পুজোর আগেই সুখবর পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে মারধর করার অভিযোগও ওঠে। তাতান গায়েন নামের স্থানীয় নেতাকে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করা হয়। মাটিতে ফেলে তাঁকে লাঠিপেটা করা হয় বলে খবর। অন্যদিকে বিজেপির মহিলা কর্মীদের আবার দাবি, অন্যায়ভাবে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে ভোটের আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গ্রাম।
এরপর তৃণমূল নেতার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে রবিবার রাতে গ্রামে পুলিশ অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে। সোমবার একদিকে রাজ্যের ৮টি কেন্দ্রে যখন ভোট চলছে, তখন বেড়মজুর কাঠপোল বাজারে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঝুপখালির মহিলারা পথ অবরোধ করেন।
পুলিশের তরফ থেকে সেই বিক্ষোভ হটানো হয়। একইসঙ্গে তিনজন মহিলাকেও আটক করা হয় বলে খবর। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রাতের বেলায় পুলিশি অভিযান আটকাতে গতকাল রাতভর লাথি-ঝাঁটা হাতে গ্রাম পাহাড়া দেন গ্রামের মহিলারা। বিজেপি মহিলা কর্মী সমর্থকদের এই কর্মসূচির ফলে সন্দেশখালি আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।