বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের অভিযোগের মুখে চিকিৎসক শান্তনু সেনের গোষ্ঠী। অভিযোগ, চূড়ান্ত বেআইনিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বঙ্গীয় শাখার নির্বাচন (Election of Indian Medical Association Kolkata) ঘিরে এই অভিযোগ। সম্প্রতি বেশ কিছু চিকিৎসক শান্তনু সেনের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। যদিও সেসবে আমল দিতে নারাজ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি চিকিৎসক শান্তনু সেন। তার পাল্টা উত্তর, অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানাক।
চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক, ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্র কর অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনের জন্য আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া ডা. সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। এদিকে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যালট পেপার পাননি।’’ এই নিয়েই শোরগোল।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বেঙ্গলের রাজ্য সম্পাদক পদে এবারেও প্রার্থীপদে রয়েছেন চিকিৎসক শান্তনু সেন। গত শুক্রবার পার্কসার্কাসে আইএমএ অফিসের সামনে চিকিৎসকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। দুর্নীতিমুক্ত আইএমএ নির্বাচনের দাবি তোলেন কাজল কৃষ্ণ বণিক, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগত মুখোপাধ্যায়রা।
তাদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রার্থী ডাক্তার সুরজিৎ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বঙ্গীয় শাখায় গালা দিয়ে সিল করা একটি ব্যালট বক্স রাখা হয়েছে। বিরোধী প্রার্থীদেরওl কাউকে কিছু না জানিয়েই বিশেষ একটি গোষ্ঠী এই ব্যালট বক্স রেখে গিয়েছে। রাখার সময় তা খালি ছিল কি না সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্ত ‘নিয়োগ দুর্নীতির’ কুন্তল ঘোষ, জেল থেকে কে নিয়ে গেল প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে?
এদিকে ডাঃ নারায়ণচন্দ্র করের অভিযোগ, ‘‘৩ হাজার টাকার পরিবর্তে একটি অসম্পূর্ণ ভোটার লিস্ট দেওয়া হয়েছে যেখানে কোনও ভোটারের ঠিকানা ফোন নম্বর কিচ্ছু নেই। তালিকায় অনেকেই এমন যারা বেঁচে নেই।’’ এই নিয়ে শান্তনু সেন বলেন, ‘‘যে কয়েকজন মাত্র চিকিৎসক এসেছিলেন, তারা সকলেই বিশেষ একটি দলের সমর্থক। আর জি কর ইস্যুতে এরাই রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নেমেছিলেন। এখন উল্টে জেনে গেছেন নির্বাচনে গো-হারান হারবেন। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন এখন।’’ এবারেও আইএমএ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতবেন তৃণমূলপন্থী চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাসী তিনি।