বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নয়া কীর্তি! ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। এরপর থেকে প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একের পর দুর্নীতির কথা। এবার জানা গেল, মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার জন্য যে সরকারি টাকা আসতো, সেটা নিয়েও নয়ছয় করতেন তিনি।
সরকারি টাকাও পকেটে ভরতেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)!
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College) চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গেই উঠেছে নানান দুর্নীতির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ এবং তাঁর ৩ ‘শাগরেদ’। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন এই চিকিৎসক।
- স্বাস্থ্য ভবনের চোখেও ধুলো দিতেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ!
সন্দীপকে (Sandip Ghosh) গ্রেফতার করার পর থেকে তাঁর একাধিক ‘কীর্তি’র কথা ফাঁস করেছে সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, আরজি করের পড়াশোনার জন্য সরকারের তরফ থেকে যে অ্যাকাডেমিক ফান্ড দেওয়া হতো, সেটার টাকাও ঘুরপথে প্রাক্তন অধ্যক্ষের পকেটে ঢুকতো। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা সেই নথি পেয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ! শিক্ষক দিবসের দিনই শিক্ষারত্ন ফেরালেন রাজ্যের শিক্ষক
সেই কাগজপত্র ঘেঁটে দেখার পর সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, পড়াশোনার জন্য দেওয়া অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা থেকে আরজি করের কন্ট্রাক্টরদের পেমেন্ট করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ কন্ট্রাক্টররাই সেই টাকা পেয়েছেন। এবার তাঁরা যেহেতু প্রাক্তন অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ, তাই টাকার একটি অংশ সন্দীপের নানান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন যাতে এই বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে না পারে সেই বন্দোবস্তও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের (Academic Fund) জন্য বরাদ্দ করা টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা যায় না। এমন নিয়ম নেই। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই টাকা অন্য খাতে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেবার কিছু হয়নি। আগস্ট মাসে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই ইস্যু। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। আদালতের নির্দেশ মতো সিবিআই তদন্তভার নিতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক তথ্য।