বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নজরে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গেই তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। বেওয়ারিশ মরদেহ বিক্রি থেকে শুরু করে টেন্ডার দুর্নীতি, সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। এবার তদন্তভার পেতেই ‘অ্যাকশনে’ নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই।
সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাড়িতে সিবিআই হানা
রবিবার সকাল ৬:৩০ নাগাদ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করার পর বাড়ি থেকে বেরোন সন্দীপ। বাইরের দরজার ফাঁক দিয়ে সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ফের ভেতরে চলে যান।
এরপর শুরু হয় অপেক্ষা! বাইরে দাঁড়িয়ে দরজা খোলার অপেক্ষা করতে থাকে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা স্থানীয় থানাতেও যান বলে খবর। এমনকি সন্দীপের বাড়ির দরজা না খোলা হলে কীভাবে ভেতরে প্রবেশ করা হবে সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। এরপরেই দরজা খোলেন আরজি করের (RG Kar Medical College and Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান নিয়ে ঐক্যমত্য নেই BJP-র? শুভেন্দু যাচ্ছেন, ‘উল্টো সুর’ সুকান্তর গলায়!
৬:৩০ থেকে প্রায় ০৮:০৬ নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা অপেক্ষা করার পর দরজা খোলেন সন্দীপ। ভেতরে প্রবেশ করেন ৮ জন গোয়েন্দা (CBI Raid)। এদিন সন্দীপের পাশাপাশি আরজি করের সাবেক সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ এবং ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমানে কোমর বেঁধে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে পড়েছে সিবিআই। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পাশাপাশি সন্দীপ (Sandip Ghosh) জমানায় হাসপাতালে হওয়া দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, আজ মোট ১৫টি জায়গায় হানা দিয়েছে তারা। এই অভিযানে কী কী তথ্য সামনে আসে সেটাই দেখার।