বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট। আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে এদিনই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলা এবং ধর্ষণ, খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
গ্রেফতারির পরেই জোর ঝটকা (Sandip Ghosh)!
আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council)। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, তার উপযুক্ত উত্তর আসেনি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল তার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলেরই দু’জন সদস্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর শোকজ করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। সেটার উপযুক্ত জবাব পাননি তারা। এরপরেই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুনঃ কলতানকে ‘কৃষ্ণ’, সঞ্জীবকে ‘অর্জুন’ তকমা রাজ্যের! পাল্টা হাইকোর্ট যা বলল … তোলপাড়
নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করতে গেলে এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর অত্যন্ত জরুরি। এবার সন্দীপের সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বরই বাতিল করে দেওয়া হল। এই আবহে অনেকের আবার তাঁর ইস্তফা দেওয়ার দিনের কথা মনে পড়ছে। আরজি করের (RG Kar Case) অধ্যক্ষের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সন্দীপ বলেছিলেন, ‘আমি অর্থোপেডিক সার্জেন। দু’টো হাত রয়েছে। আমি কিছু করে খেতে পারব’। এবার সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ায় এটা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেল বলে মনে করছেন, চিকিৎসক মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সন্দীপের (Sandip Ghosh) রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। তার উপযুক্ত জবাব পাননি তারা। সেই কারণে নথিভুক্ত ডাক্তারদের রেজিস্টার থেকে সন্দীপের নাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।