বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলার পর চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই সন্দীপকে (Sandip Ghosh) নিয়েই সামনে এল বড় খবর! জানা যাচ্ছে, এবার ফের একটি ঝটকা পেতে চলেছেন তিনি!
গ্রেফতারির পর জোর ধাক্কা (Sandip Ghosh)!
গত ২ সেপ্টেম্বর আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ। এর কয়েকদিন পর তাঁকে শোকজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়। ডাক্তার হিসেবে কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না? জানতে চাওয়া হয় এই উত্তর। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরজি করের (RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ্যকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
- এবার কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল?
কয়েকদিন আগে চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের মামলাতেও সন্দীপকে (Sandip Ghosh) হাতকড়া পরিয়েছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এতকিছুর পরেও সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন কেন বাতিল করা হয়নি? দেখা দিতে শুরু করে এই প্রশ্ন। পাল্টা মেডিক্যাল কাউন্সিলের ব্যাখ্যা ছিল, দু’টি কারণেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোনও ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায়।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে বাম নেত্রীকে তলব CBI-এর! কোন সূত্রে? তুমুল শোরগোল
প্রথমত, কোনও চিকিৎসক যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের চক্রান্ত অথবা তাতে সরাসরি যুক্ত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং দ্বিতীয়ত, কোনও অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ানোয় জনসমাজে যদি কোনও চিকিৎসকের বদনাম হয়। তবে উল্লিখিত দু’টি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শোকজ না করে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ।
এবার জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের (Sandip Ghosh) রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার দুপুরে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল আলোচনায় বসেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরাই সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।