বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই আদালত চত্বরে থাপ্পড় খেয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ! এবার তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল চটি! এদিন সন্দীপকে (Sandip Ghosh) আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়। চোর চোর স্লোগান তোলার পাশাপাশি সোজা তাঁকে লক্ষ্য করে চটি ছোড়া হয় বলে খবর।
সন্দীপের (Sandip Ghosh) হাজিরা ঘিরে উত্তাল আদালত!
মঙ্গলবার আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এদিন সন্দীপ সহ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত কাউকেই সিবিআই আর হেফাজতে চায়নি বলে খবর। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী জানান, পরে যদি দরকার পড়ে তাহলে হেফাজতে চাওয়ার আবেদন জানানো হবে।
- সন্দীপকে বের করার সময় ধুন্ধুমার!
এদিন সিবিআই (CBI) আইনজীবীর কথা শুনে বিচারক বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী রায় হবে সেটা এখন থেকেই ঠিক করতে চাইছেন? তখন কী পরিস্থিতি হবে, সেই বুঝে নির্দেশ’। এদিকে আবার আজ সন্দীপকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলা আইনজীবীরা। আদালতে ঢোকার সময় চোর চোর স্লোগান তোলা হয়। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে চটি ছোড়া হয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, প্রবল বিক্ষোভের মাঝেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে পুলিশ সন্দীপকে বের করে। আগামী ২৩ তারিখ অবধি সন্দীপের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ শিরদাঁড়ার পর এবার মস্তিষ্ক! স্বাস্থ্য ভবনের দোরগোড়ায় জুনিয়র চিকিৎসকরা, বসে পড়লেন রাস্তায়
উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) অধ্যক্ষ থাকাকালীন আরজি কর হাসপাতালে ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেওয়ারিশ মরদেহ ‘বিক্রি’ থেকে শুরু করে টেন্ডার দুর্নীতি, একাধিক অভিযোগ আনা হয়। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিতেই কয়েকদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য আজকের নয়। গত বছরই তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেই সময় ব্যাপারটা বেশিদূর এগোয়নি। কিন্তু গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর এক এক করে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। লাগাতার সিবিআই জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সন্দীপের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির এই মামলায় আরও ৩ জনকে হাতকড়া পরিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিন ধৃত ৪ জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।