মরদেহ বিক্রি অতীত! আরজি করে আরও বড় দুর্নীতি ফাঁস! তদন্তে নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল CBI

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে। তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে সরগরম রাজ্য। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। এবার যেমন সন্দীপের (Sandip Ghosh) ‘নয়া কীর্তি’ ফাঁস করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

  • শিরোনামে সন্দীপের (Sandip Ghosh) নয়া ‘কীর্তি’!

আরজি কর হাসপাতালে (RG Ka Hospital) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। ইস্তফা দেওয়ার পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। কয়েকদিন আগে বিশেষ সিবিআই আদালতে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, হাউস স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রেও ‘দুর্নীতি’র খোঁজ মিলেছে।

  • কী বলছে সিবিআই?

জানা যাচ্ছে, সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা ২০২২ এবং ২০২৩ সালের নিয়োগের তথ্য খতিয়ে দেখেছে। সেখানেই একাধিক ‘ফাঁকফোঁকর’ চোখে পড়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, হাউস স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়ার সঙ্গেও কাটাছেঁড়া করেছিলেন সন্দীপ। মেরিটের ভিত্তিতে নয়, বরং নিজের পছন্দের প্রার্থীদের তিনি নিয়োগ করতেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে জোর ঝটকা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার, তোলপাড়

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরাও হাউস স্টাফ সিলেকশনের ক্ষেত্রে কোনও প্যানেলের অস্তিত্ব ছিল বলে জানতেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্দীপ (Sandip Ghosh) নাকি ‘সাক্ষাৎকারে’র একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজেই হাউস স্টাফ নিয়োগের একটি তালিকা তৈরি করতেন। দেখা গিয়েছে, সেখানে বহু মেধাবী পড়ুয়ার নাম নেই। তদন্তকারীরা এখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বলে খবর।

এদিকে আবার দুর্নীতির কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা সন্দীপ কোথায় সরাতেন, কাকে পাঠাতেন, তার তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের দাবি, বেশ কয়েকটি সংস্থা খুলে এই টাকা সরানো হয়েছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়েই এমন ৮-১০টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সন্দীপের নিকট আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে এই সংস্থাগুলি খোলা হয়েছিল বলে খবর। এর কোম্পানিগুলির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Sandip Ghosh RG Kar Hospital scam money new update big claim by Enforcement Directorate

এই কাণ্ডের তদন্তে নেমেই গত শুক্রবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে অবশ্য কোনও কাজ হয়নি। দেখা যায়, বাড়িতে তালা ঝুলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত ৫-৬ বছর ধরেই এখানে কেউ থাকে না। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে তালা দেওয়াই থাকে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর