ED আসতেই ঘুরে গেল ‘খেলা’! দুর্নীতির কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কাকে পাঠাতেন সন্দীপ? ফাঁস হতেই তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে আছেন তিনি। এর মাঝেই ফাঁস হল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্নীতির টাকা কীভাবে সরাতেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)? কাকে পাঠানো হতো? এবার প্রকাশ্যে এল সেসব খবর।

  • আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড় (Sandip Ghosh)!

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) দুর্নীতি টাকা অন্যত্র পাঠানোর খোঁজ মিলেছে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, বেশ কয়েকটি সংস্থা খুলে এই টাকা সরানো হয়েছে। তদন্তে নেমে প্রাথমিক পর্যায়ে এমন ৮-১০ টি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সকল কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে বলে খবর।

   
  • কাদের নামে খোলা হয়েছে সংস্থা?

আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডের কিনারা করতে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে ইডি (Enforcement Directorate)। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এবং নিকট আত্মীয়দের নামে এই সকল সংস্থাগুলি খোলা হয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইতিমধ্যেই ওই কোম্পানিগুলির একাধিক ডিরেক্টরের খোঁজও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল সরকার, উড়ল রাতের ঘুম

এদিকে ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বেশ কয়েক দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়। সম্পূর্ণ বাড়ি জুড়ে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করা হয় বলে খবর। একইসঙ্গে হানা দেওয়া হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের শ্বশুরবাড়িতে।

Sandip Ghosh rg kar case

গত শুক্রবারই সন্দীপের শ্বশুররবাড়িতে হানা দেয় ইডি (ED)। সেখানে গিয়ে অবশ্য দেখা যায়, বাড়িতে তালা দেওয়া, কেউ নেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত ৫-৬ বছর ধরে এখানে কেউ থাকে না। অধিকাংশ সময় বাড়ি তালাবন্ধই থাকে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের শ্বশুরমশাইয়ের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তবে এখন তাঁরা হুগলির পাদ্রী পাড়ার বিবেকানন্দ সরণির বাড়িতে থাকেন না বলে খবর।

এদিকে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সন্দীপের (Sandip Ghosh) শ্বশুরবাড়িতে হানা দিলেও খালি হাতে ফিরতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর বৈদ্যবাটিতে কুণাল রায়ের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে চালানো হয় তল্লাশি। জানা যাচ্ছে, সেখানে বহুক্ষণ ধরে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর