বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছিল। গতকাল আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংবাদ। এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
সন্দীপের (Sandip Ghosh) জামিনের আবেদন খারিজ
এদিন সিবিআই (CBI) দফতর থেকে বের করে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দীপকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করতেই জনগণের তরফ থেকে চোর চোর স্লোগান উঠতে শুরু করে। আদালতে যাওয়ার পরেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সন্দীপকে যখন পেশ করা হয়, তখন মহিলা আইনজীবীরা তেড়ে আসেন বলে খবর।
- কী বলল আদালত?
গতকাল সন্দীপের (Sandip Ghosh) সঙ্গেই আরজি করের দুই ভেন্ডর এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হয়। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত, তাঁদের জেরা করে বহু তথ্য উঠে আসবে বলে জানায় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ চুলোয় যাবে গরম! বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু! গণেশ চতুর্থীতে কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া?
ধৃত ৪ জনকে জেরা করা হলে এই দুর্নীতি সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য ফাঁস হবে, আরও অনেকে গ্রেফতার হবে বলে জানায় সিবিআই। সন্দীপের আইনজীবী তখন বলেন, তাঁর মক্কেল সবসময় তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। রোজ সন্দীপ সিবিআই দফতরে যেতেন। এতদিন অবধি সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন, আগামীদিনেও করবেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সন্দীপ, বিপ্লব, সুমন এবং আফসারকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আলিপুর আদালত (Alipore Court)।
এদিকে আবার সূত্রের খবর, গতকাল গ্রেফতার হওয়ার পরেই নাকি ভেঙে পড়েন সন্দীপ (Sandip Ghosh)। জেরার সময় কেঁদে ফেলেন, এমনটাই সূত্রের খবর। গতকাল সিজিও থেকে নিজামে নিয়ে আসার সময় গোটা রাস্তা তিনি কোনও কথা বলেননি বলে জানা যাচ্ছে। গাড়িতে চুপ করে মাথা নীচু করে বসেছিলেন। এরপর সিবিআই জেরার মুখে পড়তেই তাঁর চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে বলে খবর মিলেছে।
উল্লেখ্য, সন্দীপের আমলে আরজি কর হাসপাতালে একাধিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেওয়ারিশ মরদেহ বিক্রি থেকে শুরু করে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার, টেন্ডার দুর্নীতি, একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের হেফাজতে এবার আর কোন কোন তথ্য বেরিয়ে আসে সেদিকে নজর থাকবে।