বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আগেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সন্দীপকে (Sandip Ghosh) ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই আবহে এবার প্রকাশ্যে এল একটি চাঞ্চল্যকর চিঠি।
দেহ উদ্ধার হতেই সরকারি চাকরি ছাড়তে চান সন্দীপ (Sandip Ghosh)?
গত ৯ আগস্ট আরজি করের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। এরপরেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠতে শুরু করে, মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। শেষমেষ ১২ আগস্ট অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি (RG Kar Case)। তবে এবার সামনে এল আরও বড় একটি খবর! ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নাকি আরজি করের অধ্যক্ষ সহ সরকারি পদ থেকেও স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চেয়েছিলেন সন্দীপ।
- প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর চিঠি
সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি চিঠি। সেখানে দেখা যাচ্ছে সন্দীপ (Sandip Ghosh) লিখেছেন, ‘২০০০ সালের ৪ মে থেকে ২৪ বছরের অধিক সময় ধরে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে আমি কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে আদালত কিংবা ভিজিল্যান্সে কোনও মামলা চলছে না। তাই আমার স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা হোক’।
আরও পড়ুনঃ বৈঠকের ৩ নম্বর শর্ত নিয়ে ধোঁয়াশা! বেরিয়ে গিয়েও ফের জিবি মিটিং-এ জুনিয়র ডাক্তাররা
স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার আর্জি জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে (Swasthya Bhaban) চিঠি দিয়েছিলেন সন্দীপ। জানা যাচ্ছে, আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সেই সময় সরকারি চাকরিও ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। গত মাসে পাঠানো সেই চিঠি এতদিন পর প্রকাশ্যে এসেছে। এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
এদিকে সন্দীপ স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেও তাঁকে ছাড়েনি রাজ্য সরকার! আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিতেই সেদিন বিকেলে তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে বসানো হয়। যদিও তা নিয়ে সেখানকার পড়ুয়ারা বিস্তর বিক্ষোভ করায় সেখান থেকে সন্দীপকে (Sandip Ghosh) সরিয়ে দেয় সরকার। বর্তমানে আরজি করে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সন্দীপকে নিয়ে প্রকাশ্যে আসছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য।