RG Kar থেকে বদলি করা হল সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে! নতুন পোস্টিংয়ের ‘স্থান’ ঘিরে বিতর্ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের আগস্ট মাস থেকেই আরজি কর কান্ড ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এখনও  পর্যন্ত জেলবন্দী রয়েছেন আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার এই মামলা চলাকালীন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী (Sandip Ghosh Wife) সংগীতা ঘোষকে আরজি কর হাসপাতাল থেকে বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হল।

সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীর (Sandip Ghosh Wife) নতুন পোস্টিং ঘিরে বিতর্ক

আরজি কর মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সরকারি অধ্যাপিকা সংগীতা ঘোষ (Sandip Ghosh Wife)। ওই একই পদে বদলি করে এবার তাঁকে পাঠানো হল কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। কিন্তু আরজি কর হাসপাতাল থেকে সঙ্গীতাকে একেবারে তাঁর বাড়ির পাশের হাসপাতালে বদলি করায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্দরমহলে।

অন্যদিকে আজই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কগনিজেন্স নিল আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আজই আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আর এবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উঠলো বড় অভিযোগ।

জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও তা আদালতকে জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে বিচারক এদিন বললেন, ‘আমি শোকাজ করব, যা বলার তখন বলবেন।’

আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ! বেসরকারি কলেজগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন আপডেট

রাজ্য চার্জ গঠনের অনুমতি দেওয়ার পরেও তা আদালতকে কেন জানানো হল না? তার কারণ জানতে চেয়ে সিবিআইকে এদিন শোকজ করেছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। এক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ ২৭ তারিখ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। আর আপলোড করা হয়েছে ২৮ তারিখ। কেন দু’দিন সময় নষ্ট করা হল? তা নিয়ে আগামীকাল জবাবদিহি করতে হবে সিবিআইকে।

সন্দীপ ছাড়াও আবসর আলি, সুমন হাজরা,আশীষ পান্ডে ও বিপ্লব সিংহের বিরুদ্ধে কগনিজেন্স নিয়েছে আদালত। ২৮ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কগনিজেন্স নেওয়ার অনুমোদন এসেছে। কিন্তু আদালতে কেন দু’দিন পর কগনিজেন্সের আবেদন ও সরকারি অনুমোদনের কথা বলল সিবিআই? সেই প্রশ্ন তুলেই আজ ভর্ৎসনা করেছে আদালত।