বাংলাহান্ট ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডে যে যে গানগুলি ছিল মোটামুটি সবেতেই ভিডিও বানিয়ে ফেলেছেন স্যান্ডি সাহা (sandy saha)। নেটদুনিয়ায় যখন যেটা নিয়ে চর্চা হয় ইউটিউবার স্যান্ডিও তেমন ভাবেই সেজেগুজে ভিডিও বানিয়ে ট্রেন্ডে চলে আসেন। দিন কয়েক আগেই সর্বাঙ্গে কমলালেবু ঝুলিয়ে ‘কমলায় নেত্ত করে থমকিয়া থমকিয়া’ গানে নাচতে দেখা গিয়েছিল স্যান্ডিকে।
এবার তিনি সাজলেন কৃষ্ণ। ধুতি পরে, গলায় মালা, মাথায় মুকুট পরে, হাতে একটি বাঁশি নিয়ে নন্দ দুলাল সেজেছেন স্যান্ডি। সঙ্গে একটি বড় কাগজে লিখেছেন ‘১১৭৬’। আসলে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যত ছেয়ে গিয়েছে ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’তে। সকলেই এই বিশেষ নম্বরটির সঙ্গে ‘হরে কৃষ্ণ’ লিখে শেয়ার করছেন মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়ার আশায়।
কারোর ইচ্ছা পূরণ হোক না হোক, ট্রেন্ড দেখেই কৃষ্ণ সেজে হাজির হয়ে গিয়েছেন স্যান্ডি। তাঁকে এমন সাজে দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। আবার অনেকেই ক্ষুব্ধও হয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে মজা করায় হিন্দু ধর্মের অপমান হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকেই। স্যান্ডিকে বয়কট করার ডাক উঠেছে নেটপাড়ায়।
এরপরেই স্যান্ডি কমেন্টে লেখেন, ‘আমি এই ছবি গুলো নিয়ে খিল্লি করিনি। অনেকেই সিরিয়াল এবং সিনেমাতে ভগবানের সাজেন আমিও তাই সেজেছি। তাও কারো খারাপ লাগলে দুঃখিত আমি। কারো আবেগকে আমি আঘাত দিতে চাইনি আর হ্যাঁ একটি ভিডিও আসছে এই বিষয়ে। ওটা দেখলে কারো মনে কোন প্রশ্ন থাকবে না।’
কিন্তু এই ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’র তাৎপর্য কী, যা নিয়ে নেটমাধ্যমে এত শোরগোল? অনেকের দাবি, ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’ লিখে শেয়ার করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। দাবি উঠছে, এটি একটি মহামন্ত্র যার বর্ণনা রয়েছে রঘুনন্দন ভট্টাচার্য রচিত কবি সন্তরণ উপনিষদে। গীতা অনুযায়ী, কেউ যদি ১১৭৬ বার কৃষ্ণনাম জপ না করতে পারে তবে হরে কৃষ্ণ বা রাধা কৃষ্ণের নামের ১১৭৬ লিখলে তার সিদ্ধিলাভ হয় অথবা মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।