করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে ১.২৫ কোটি অনুদান সানিয়া মির্জার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona) মহামারী ভারতে তীব্র গতি নিচ্ছে। যার ফলে রাজ্যে একলাফে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫। এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার (
State Government) । এই লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছে অনেকেই। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা (Sania Mirza) ১.২৫ কোটি টাকা অনুদান দিলেন। টুইটারে তিনি লেখেন, গত সপ্তাহে আমরা একটি দল হিসেবে চেষ্টা করেছিলাম যাদের প্রয়োজন তাদের পাশে দাঁড়ানোর। হাজারের উপরে পরিবারকে আমরা প্রয়োজনীয় খাওয়ার দিতে পেরেছিলাম। এবং ১.২৫ কোটি টাকা তুলতে পেরেছি এক সপ্তাহে যা দিয়েছে প্রায় এক লাখ পরিবার। এর প্রচেষ্টা চলবে এবং এই পরিস্থিতিতে আমরা একসঙ্গে থাকব।” এই ক’দিন বিভিন্ন ক্রীড়ার বিভিন্ন অ্যাথলিট এগিয়ে এসেছেন এবং সাহাট্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে‌ন কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। সেই তালিকায় ক্রিকেটার, ফুটবলার থেকে বিভিন্ন অলিম্পিক্স গেমসের ক্রীড়াবিদরাও এগিয়ে এসেছেন নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী।

https://twitter.com/MirzaSania/status/1244569014702989312

শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)তৈরি করেছেন প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন (PM-CARES) ফান্ড এবং দেশের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন সাধ্য মতো সাহায্য করতে। ভারতের ক্রিকেটার সুরেশ রায়না সেই ফান্ডে ৩১ লাখ টাকা দান করেছেন। তার সঙ্গে ২১ ‌লাখ টাকা দান করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে।

corona index 2003171712

শুক্রবার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ২৫ লাখ করে দান করেন প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ক্রাণ তহবিলে। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, স্প্রিন্টার হিমা দাস, শাটলার পিভি সিন্ধু, কুস্তিগীর বজরং পুনিয়াও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত।

corona

ভারতের কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে আগেই। প্রতিদিনই বাড়ছে তাঁর সংখ্যা। তাঁরমধ্যে ১০০ জনের কাছাকাছি মানুষ অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। যেটা স্বস্তি দিচ্ছে প্রশাসনকে। COVID-19 ইতিবাচক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫০ এর বেশিতে এবং প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে খুশির খবর হলো, প্রায় দেড় শতাধিক লোক রয়েছেন যারা সংক্রামক এই ব্যাধি এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা থেকে নিরাময় পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

সম্পর্কিত খবর