বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং উচ্চশিক্ষায় মহিলাদের আগ্রহী করতে এবার গার্লস স্কুল ও কলেজে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের ১০০০টি সরকারি গার্লস স্কুল ও কলেজে এই মেশিন লাগানো হবে। এর মধ্যে প্রয়াগরাজেই ২৩টি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষার ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কিরণ আনন্দ জানান, ‘উত্তরপ্রদেশের ছাত্রীদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সর্বশিক্ষা অভিযানের অধীনেই এই প্রকল্প।’
এই প্রসঙ্গে সেই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের ৭৫টি জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেখানে দেখা গিয়েছে ২০১৮-১৯ সালে ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৫.১৩ লাখ ছাত্রী পড়াশুনা থামিয়ে দিয়েছে। স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যা বরাইচ, সীতাপুর ও শাহজাহানপুরেই সবচেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিশোরীদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা দেখা দেয় ঋতুচক্র নিয়ে তাদের অজ্ঞতা, ভয় ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের অভাবের জন্য। স্বাস্থ্য দফতরের এক সমীক্ষা অনুযায়ী সেরাজ্যে প্রতিমাসে ২৮ লক্ষ কিশোরী ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে স্কুলে যায় না। এর মধ্যে ১৯ লাখ ধীরে ধীরে স্কুলে আসাই বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ইউনিসেফের এক সমীক্ষা বলছে ভারতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মহিলা ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে কাপড় ব্যবহার করেন।