বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের ‘কুল সুপারস্টার’ হলেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)। তিনিও কিন্ত ইন্ডাস্ট্রির স্টারকিডদের মধ্যেই পড়েন। তবে বিগড়ানোর দিক দিয়ে বর্তমানের স্টারকিডদের টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। তবে এখন সেসব অতীত। এখন ঘোরতর সংসারী সঞ্জয় দত্ত। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তাঁর জীবন। তবে এখন জীবনে একমাত্র নারী মান্যতা দত্ত থাকলেও একটা সময়ে কিন্তু মহিলা দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকতেন সঞ্জয়।
‘বড়লোক বাবার বখে যাওয়া সন্তান’, সঞ্জয় দত্তের জন্য এ উপাধি একেবারে আদর্শ। অভিনেতা পরিচালক সুনীল দত্তের ছেলে অনেক কম বয়সে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। অভিনয় জীবনে কম উত্থান পতন দেখেননি তিনি। বৈচিত্রে ঠাসা ছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘সঞ্জু’তে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে দাবি করা হয়েছিল, অভিনেতার প্রেমিকার সংখ্যা নাকি পেরিয়ে গিয়েছিল ৩০০-এর গণ্ডি।
১৯৮১ সালের ছবি ‘রকি’র হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করেন সঞ্জয়। দীর্ঘ ৪০ বছরের কেরিয়ারে ‘লেডিজ ম্যান’এর তকমা পেয়েছিলেন তিনি। একটার পর একটা প্রেম করতে করতে সংখ্যাটা ছাড়িয়েছিল ৩০০। সঠিক ভাবে বললে ৩০৮ টি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সঞ্জয়। কয়েকজনের সঙ্গে বিয়েও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু শেষমেষ সেগুলো টেকেনি।
একবার কপিল শর্মা শো তে এসে সঞ্জয় বলেছিলেন, অভিনেত্রী কৃতি সানন তাঁর পরবর্তী প্রেমিকা হতে পারেন। ‘পানিপথ’ ছবিতে কৃতির অভিনয় মুগ্ধ করেছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, আলিয়া ভাটের সঙ্গে তাঁর জুটি মানাবে না কারণ তিনি তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট। আলিয়ার সঙ্গে রোম্যান্স করতে বাধো বাধো ঠেকবে তাঁর।
প্রসঙ্গত, মান্যতার আগে রিচা শর্মা এবং রিয়া পিল্লাই এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু কয়েক বছরেই ভেঙে যায় তাঁর দুটি বিয়েই। ২০০৮ সালে মান্যতাকে বিয়ে করেন তিনি। আর তারপরেই বদলে যায় সঞ্জয়ের জীবন। যদিও তিনি জানান, বিয়ের আগে স্বামীর প্রেমিকাদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। সঞ্জু ছবিটি মুক্তির পরে তাঁর কীর্তি জানতে পারেন মান্যতা।