বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে ‘ক্যাটফাইট’ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তবে শুধুই যে নায়িকা নায়িকায় যুদ্ধ হয় এমনটা কিন্তু নয়। অভিনেতাদের সঙ্গেও বিবাদে জড়ান অভিনেত্রীরা। এমনকি ভাল করতে গিয়ে বদলে মুখ ঝামটা শুনতে হয়েছে, এমন উদাহরণও রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। শরীর ঢাকার পরামর্শ দিয়ে আমিশা পটেলের (Ameesha Patel) রোষের মুখে পড়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)।
সঞ্জু বাবার সঙ্গে বড়সড় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ নায়িকা। এমনকি অভিনেত্রীর বলিউড কেরিয়ারও শেষ হতে বসেছিল এই বিবাদের কারণে। একাধিক ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন আমিশা। একসঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন সঞ্জয়।
এই ঘটনা ২০১২ সালের। গোয়ায় বসেছিল ডেভিড ধাওয়ান পুত্র রোহিত ধাওয়ানের সঙ্গীত অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক সঞ্জয় দত্ত এবং আমিশা। তবে অভিনেত্রীর পোশাকটা একটু বেশিই খোলামেলা ছিল। বিষয়টা ভাল চোখে দেখেননি সঞ্জয়।
বলিউডের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর, সঞ্জয় দত্ত একটু রক্ষণশীল মনোভাবের মানুষ। মহিলাদের খোলামেলা পোশাক পরা পছন্দ করেন না তিনি। আমিশাকে তাই অমন পোশাকে দেখে ভাল মনেই সঞ্জয় বলেছিলেন, অভিনেত্রী তাঁর নিজের বোনের মতো। এমন পোশাক আশাক পরা উচিত নয় তাঁর।
এই বলে নিজেই নাকি ওড়না নিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন আমিশার বুক। কিন্তু অভিনেতা ভাবতেও পারেননি এতে আমিশা এমন ক্ষিপ্ত হয়ে যাবেন। রীতিমতো চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সঞ্জয় কে তাঁকে এমন পরামর্শ দেওয়ার? প্রশ্ন করেছিলেন আমিশা। হতভম্ব হয়ে চুপচাপ সেখান থেকে সরে যান অভিনেতা। পরদিনই ফিরে আসেন মুম্বই।
আসল খেলাটা শুরু হয় এরপর। সেদিনের অপমান হজম না করে সেটা ফিরিয়ে দেন সঞ্জয়। এরপর ডেভিড ধাওয়ান ও প্রিয়দর্শনের দুটি ছবি থেকে বাদ পড়েন আমিশা। সঞ্জয় বেঁকে বসেছিলেন কাজ অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে।
বাধ্য হয়ে নত হন আমিশাই। তিনি দাবি করেন, সঞ্জয় নাকি তাঁকে নিয়ে খুব রক্ষণশীল। উনি কখনো অভদ্র ব্যবহার করতেই পারেন না। সঞ্জয়ের ভয়েই নাকি কেউ কখনো ছুঁতেও পারে না আমিশাকে। তাই যেসব কথা রটানো হয়েছে সেসবই নাকি গুজব বলে দাবি করেছিলেন আমিশা।