বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ তিনমাস জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন গতকাল। শিবেসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) জামিন দিয়েছে বিশেষ আদালত। ১০০ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ এই সাংসদ।
এদিন তিনি জানান, দু-চার দিনের মধ্যে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে দেখা করবেন। উন্নয়নমূলক একাধিক কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য দেবেন্দ্রর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান তিনি। সঞ্জয় যতই বলুন, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে সঞ্জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতেও তিনি বিশেষ আগ্রহী।
একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময় শিবসেনা সাংসদ বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সরকারের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্তে আমি সমর্থন করি। আমরা মনে করি দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই আসলে রাজ্য চালাচ্ছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ সঞ্জয় রাউতের মুখে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের প্রশংসার শুধুই সৌজন্যমূলক নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ তাই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহল। তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেরও প্রশংসা করেছেন শিবসেনা সাংসদ। তিনি জানান, জেলে থাকার সময় উদ্ধব তাঁর পরিবারের পাশে ছিলেন। এমনকী উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরেরও প্রশংসা শোনা যায় শিবসেনা সাংসদের মুখে।
গতকাল সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুরের পরই ইডিকে ভর্ৎসনা করে বিশেষ আদালত। বিচারক জানান, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের আগে থেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন শিবসেনা। বুধবার আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই উদ্ধবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শিবসেনা সাংসদ এবং সেই সময় তাঁর চোখের কোণে চিক চিক করে ওঠে কয়েক ফোঁটা জল। পত্রচল কেলেঙ্কারি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে শিবসেনার এই রাজ্যসভা সাংসদকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই মামলায় সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউতেকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা।